আজ সোমবার রাত ৮টার পর থেকে সব ধরনের বিপণীবিতান ও দোকানপাট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত সারাদেশে একযোগে কার্যকর হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই), দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তবে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই রাত ১০টা পর্যন্ত এ নিয়ম শিথিল করার অনুরোধ আসে। এই দুই ঘণ্টা বাড়তি দেয়া হবে কিনা- এ প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দফতরে অনুমতির জন্য পাঠানো হবে। সেখানে অনুমতি পেলে পরে জানানো হবে।
তবে হাসপাতাল, রেল স্টেশন, বাস স্টেশন, বিমানবন্দর, হোটেল, নাপিত, ঔষধের দোকান, সিনেমা, থিয়েটার, মিষ্টি ও ফুলের দোকান, ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস অফিস, ক্লাবগুলো এই নিয়মের বাইরে থাকবে।
এর আগে গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো: আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের সই করা চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬-এর ১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক সারাদেশে রাত ৮টার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণীবিতান, কাঁচাবাজার খোলা না রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আপনার মতামত লিখুন :