

দ্রুত শেয়ার করুন–
পবিত্র কোরআনে মহান রাব্বুল আলামীন স্বীয় সেনাবাহিনীর বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন : ‘আর অবশ্যই আমার বাহিনীই বিজয়ী হবে।’ (সূরা সাফফাত-আয়াত ১৭৩)।পূর্বালোচনায় উল্লিখিত সূরা সাফফাত-এর ১৬৭-১৭৯ নং আয়াতসমূহের অর্থ ও মর্মের প্রতি গভীর মনোযোগের সাথে তাকালে সহজেই বোঝা যায় যে, এতে কাফেরদের হঠকারিতা ও বিরুদ্ধবাদিতার বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে যে, প্রিয় নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহহি ওয়া সাল্লামের নাবুওয়াত ও রিসালাতের দায়িত্বসহ আগমনের পূর্বে অবিশ্বাসী কাফের ও পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহ বিকৃতকারী এবং নবী ও রাসূলবিরোধী জনগোষ্ঠী বাসনা প্রকাশ করে বলত যে, এখন কোনো পয়গাম্বর আগমন করলে আমরা তাঁর অনুসরণ করতাম।
কিন্তু যখন বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা আহমাদ মুজতাবা সাল্লাল্লাহু আলাহহি ওয়া সাল্লামের আগমন ঘটল, তখন তারা জিদ এবং হঠকারিতা ও বিরুদ্ধবাদিতার পথ অবলম্বন করল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহহি ওয়া সাল্লামকে সকল দিক দিয়ে নিপীড়ন ও উৎপীড়ন করতে লাগল। ইসলামের নাম ও নিশানা পৃথিবী থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলো। এহেন নাজুক মুহূর্তে মহান রাব্বুল আলামীন প্রিয় হাবীব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহহি ওয়া সাল্লামকে সান্ত¦না প্রদান করে ইরশাদ করলেন, আপনি বিরুদ্ধবাদীদের উৎপীড়ন ও নির্যাতনে মনঃক্ষুণ্ন হবেন না। অবদমিত হবেন না।
জেনে রাখুন, সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন আপনিই বিজয়ী ও চিরসফল হবেন এবং আপনার বিরুদ্ধ পক্ষ হবে দুনিয়ায় চূড়ান্তভাবে পরাভূত এবং আখেরাতে চিরস্থায়ী আযাব ও গযবের লক্ষ্যবস্তু। পরকালে তো তা পরিপূর্ণভাবেই পরিদৃষ্ট হবে। তবে মহা কৌশলী আল্লাহপাক এই দুনিয়াতেও দেখিয়ে দিয়েছেন যে, বদর যুদ্ধ হতে মক্কা বিজয় পর্যন্ত প্রতিটি যুদ্ধেই তিনি প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহহি ওয়া সাল্লামকে বিজয় ও সাফল্য দান করেছেন এবং তাঁর শত্রু পক্ষকে পরাজিত, লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেছেন। এর কোনো ব্যত্যয় সাধিত হয়নি এবং হবেও না কোনো দিন।
খ্রিষ্ট্রীয় একবিংশ শতাব্দির প্রথম পৈঠায় পাদমূলে দাঁড়িয়ে আমরা দেখে চলেছি আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামদ্রোহী শক্তি বলয়ের নানা রূপ নর্তন-কুদিন ও আধিপত্য বিস্তারের কুট কৌশল। ইসলাম আল কোরআন উচ্ছেদ করার ঘৃণ্য পাঁয়তারা। তাদের এই অভিলাষ কোনোক্রমেই পূরন হবার নয়। কারণ, আল্লাহ পাকের অজেয় বাহিনী মাঠে ময়দানে নেমে এসেছেন। তাদের লক্ষ্যস্থল হতে পালিয়ে যাবার পথ খোলা নেই। কেন নেই? কি জন্য নেই-এর হাকীকত আগামীতে পরিবেশন করা হবে, ইনশাআল্লাহ!
 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
আপনার মতামত লিখুন :