আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। আর মাছ যদি হয় ইলিশ, তাহলে তো কথাই নেই! বাঙালির সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এই মাছটি। এটি স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি পুষ্টিতে ভরপুর। ইলিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। এছাড়া পটাশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় এই মাছ থেকে। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় সবটুকু ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমরা এই মাছটি থেকেই পেতে পারি। এই উপাদানটি আমাদের মস্তিষ্ক ও চোখের জন্য খুবই উপকারী।
প্রচুর তেল থাকে ইলিশ মাছে। আমাদের নার্ভ সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে এই তেল। আমাদের হার্টে যে খারাপ কোলেস্টেরল রয়েছে, তা ইলিশ মাছের এই ফ্যাট বের করে দিতে পারে। ইলিশে পারদের পরিমাণ খুবই কম থাকে, ফলে আমরা খুব সহজেই এটি গ্রহণ করতে পারি। ইলিশ মাছ ভিটামিন ডি-এর খুব ভালো উৎস।
এক নজরে দেখে নিন ইলিশ খাওয়া কেন জরুরি-
ইলিশ মাছ রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
এর বেশিরভাগই উপকারী চর্বি, যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় হৃদরোগসহ বেশ কিছু রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইলিশ।
রক্তসঞ্চালন বাড়ায়।
শরীরের নানা রকম ব্যথা কমায় এই মাছ।
এই মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় বিষন্নতা কমাতে সাহায্য করে।
আমাদের স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে ইলিশ।
রান্নার পদ্ধতি
ইলিশ মাছ খুবই স্বাস্থ্যকর। সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করলে পুষ্টিগুণ অটুট থাকে এই মাছের। যেমন ভাপা ইলিশ, সর্ষে ইলিশ, ইলিশ পাতুরি। ইলিশ মাছ কড়া তেলে না ভাজাই উত্তম। কারণ কড়া তেলে ভাজলে এর সব রকম পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। পাতলা ঝোল বা ভাপা ইলিশ খাওয়াই ভালো। অনেকেই ইলিশ মাছ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন। ইলিশ মাছ অনেক দিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই মৌসুমের মাছ মৌসুমে খাওয়াই ভালো।
আপনার মতামত লিখুন :