কনটেইনার ডিপো ২০ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে নিহত বেড়ে ৪৯


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুন ৫, ২০২২, ২:৫৩ অপরাহ্ণ /
কনটেইনার ডিপো ২০ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে নিহত বেড়ে ৪৯

দ্রুত শেয়ার করুন-

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে লাগা আগুন প্রায় ২০ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি দল। আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়, আগুন লাগা কনটেইনারগুলোয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওপর থেকে যন্ত্রের সাহায্যে পানি ছিটাচ্ছেন। কিছু কিছু জায়গায় জ্বলছে আগুন। আর কিছু জায়গায় উঠছে ধোঁয়া।

প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন। আর অগ্নিকাণ্ডের স্থান থেকে বেরিয়ে আসছে মানুষের পোড়া দেহ। দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন দুই শতাধিক মানুষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই আগুনে ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস বলছে, লাশের সারি আরও দীর্ঘ হতে পারে।

এদিকে আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী। কিন্তু অতি দাহ্য রাসায়নিক থাকায় আগুন নিভছে না।
উদ্ধার কর্মীদের অভিযোগ, ডিপোর মালিক কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা না করায় জানা যাচ্ছে না ঠিক কী পরিমাণ রাসায়নিক ছিলো ডিপোতে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে কয়েক কিলোমিটার এলাকা কাঁপিয়ে সীতাকুণ্ডের বিএম টার্মিনালে যখন বিস্ফোরণ ঘটে তখন স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় পানি দিয়েই আগুন নেভাতে শুরু করে দমকল কর্মীর। কিন্তু তাতে আগুনের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগ দিয়েছে পাশের জেলার দমকল কর্মীরা।

মধ্যরাতে জানা যায় ডিপোকে অতিদাহ্য রাসায়নিক হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের একটি বড়ো মজুদ ছিল। আর সে কারণে পানি দিয়ে আগুন নেভানো যাচ্ছিলো না। পরে পানির বদলে ফোম ব্যবহার শুরু করে দমকল কর্মীরা।

এদিকে সারারাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় সকালে সেনাবাহিনী যোগ দেয়। কিন্তু দমকলের প্রায় ৩০টি ইউনিট ও সেনাবাহিনীর মিলিত চেষ্টায় রোববার সারাদিনেও আগুন নেভেনি। বিকেল পর্যন্তও বিভিন্ন কন্টেইনার জ্বলছিলো। থেমে থেমে হচ্ছিলো বিস্ফোরণ।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, রাসায়নিকের কারণে আগুন নেভানো যাচ্ছে না। বিএম কন্টোইনার ডিপোতে রাসায়নিক রাখার অনুমতি ছিলো না। ছিলো না রাসায়নিক সংরক্ষণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও।

ডিপোতে কোথায় কী পরিমাণ রাসায়নিক ছিলো সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দেয়নি ডিপোর মালিক কর্তৃপক্ষ। আগুণ লাগার মুহূর্তে ২০০ কর্মরত শ্রমিক ছিলো ওই ডিপোতে।