কু‌শিয়ারা নদীর পা‌নি এখনো বিপৎসীমার ওপরে


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ১৫, ২০২২, ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ /
কু‌শিয়ারা নদীর পা‌নি এখনো বিপৎসীমার ওপরে

সিলেটের কু‌শিয়ারা নদীর পা‌নি বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে। তবে সিলেটের অন্যান্য নদ-নদীর পা‌নি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। তবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টের পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে।

পাউবো সূত্রে জানা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, তবে আজ বৃহস্প‌তিবার সন্ধ্যা ছয়টায় এ নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১১ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায়। নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার, সেখানে নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৯ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৫ দশমকি ৪০ সেন্টিমিটার, সেখানে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১৪ দশমিক ৬১ সেন্টিমিটার। নদীর শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, সেখানে আজ সন্ধ্যায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৭ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার উচ্চতায়।

নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, সেখানে আজ সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা ছিল ১০ দশমকি ২১ সেন্টিমিটার। লুভা নদীর লুভাছড়া পয়েন্ট, সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্ট ও ধলাই নদীর ইসলামপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, সিলেটে নদ-নদীর পানি কমছে। কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পা‌নি বিপৎসীমার নিচে নামে‌নি।

সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওর দিয়ে নামে। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে পানি থাকার কারণে পানি নামতে সময় লাগছে।

এদিকে ভরা বর্ষায়ও তীব্র গরমে সারা দেশের মতো সিলেটের মানুষও হাঁসফাঁস করছে। ঈদের দিন থেকে রাতে হালকা বৃষ্টি হলেও দিনে দাবদাহ বিরাজ করছে। আজ বেলা ছয়টা পর্যন্ত সিলেটে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশ‌মিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৭ দশ‌মিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সিলেট আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবারের তুলনায় আজ বৃহস্প‌তিবার দিনের তাপমাত্রা বেশি ছিল। তবে আগামী শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর থেকে খরতাপ কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এর প্রভাবে একটু উত্তপ্ত আবহাওয়া বিরাজ করছে। আগামী শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা কমবে।