খুলনায় মুঞ্জির মাস্টার হত্যা মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ১, ২০২২, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ /
খুলনায় মুঞ্জির মাস্টার হত্যা মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন

খুলনায় মুঞ্জির মাস্টার হত্যা মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবনখুলমা মহানগরীর খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মাত্তমডঙ্গা শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুঞ্জির মাস্টার হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে এই হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক মামলায় ওই দুই আসামিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার ও আশরাফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পিপি কে এম ইকবাল হোসেন। মামলার চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মুঞ্জির মাস্টার মাত্তমডাঙ্গা যুব সংঘের ভেতরে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।

রাত সোয়া ৯টার দিকে যুব সংঘের ভেতরে প্রবেশ করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে। এরমধ্যে দু’টি বোমা মুঞ্জির মাস্টারের হাতে ও পিঠে লাগে।

মারাত্মক জখম অবস্থায় যুব সংঘের অন্যান্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান। তবে মারা যাওয়ার আগে তিনি ভাই বেনজীর আহমেদের কাছে সব ঘটনার বিবরণ বলে যান।

জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে নিহতের ভাই বেনজীর আহমেদ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম উল্লেখ করে হত্যা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করেন।

মামলাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন খানজাহান আলী থানার এসআই মো. ফারুকুল ইসলাম। তিনি একই বছরের ১২ ডিসেম্বর বোমা ও ২০০৬ সালের ৩০ জুন মুঞ্জির মাস্টার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।