শর্মিলী আহমেদের স্বামী রকিবউদ্দিন আহমেদও ছিলেন পরিচালক। তাঁর নির্মিত ‘পলাতক’ ছবিতে অভিনয় করেছেন শর্মিলী আহমেদ। স্বাধীনতাপূর্ববর্তী সময়ে আরও কিছু উর্দু ছবিতেও তিনি অভিনয় করেন। স্বাধীনতার পর ‘রূপালী সৈকতে’, ‘আগুন’, ‘দহন’-এর মতো জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রে ছিল তাঁর সরব উপস্থিতি।
এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ নাটক ও ১৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়জীবনে মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সবার মন জয় করেছেন সাবলীল অভিনয় দিয়ে। অভিনয়জীবনে মায়ের চরিত্রে এত বেশি অভিনয় করেছেন যে বিনোদন অঙ্গনে তিনি সবার কাছে ‘মা’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। সবাই তাঁকে ‘শর্মিলী মা’ বলেই ডাকতেন।
ক্যারিয়ারের শুরুতে শর্মিলী আহমেদ ছিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। পরবর্তীকালে ছোট পর্দার মা, দাদি কিংবা ভাবির চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছিলেন।
অভিনয়ে ব্যস্ত থাকলে অনেক সময়ই পরিবারে সময় দিতে পারেন না অভিনয়শিল্পীরা। কিন্তু শর্মিলী আহমেদ একেবারে আলাদা। অভিনয় ও সংসার—দুটিই সামলেছেন তিনি। সংসারে কী রান্না হবে, কে কী খাবেন—এসব বুঝিয়ে দিয়েই প্রতিদিন ছুটতেন শুটিং সেটে।
তাঁর কাছে পরিবার আগে গুরুত্বপূর্ণ, তারপর কাজ। এ কারণে পরিবারের সদস্যরা সব সময়ই শর্মিলী আহমেদকে অভিনয়ে সহযোগিতা করেছেন। ছোট পর্দায় তাঁকে বেশির ভাগ সময় মায়ের চরিত্রে দেখা গেছে। আর বাস্তবেও মায়ের মতোই আগলে রেখেছিলেন পুরো পরিবারকে।
অভিনেত্রী ও মা—দুই জায়গাতেই সফল ছিলেন শর্মিলী আহমেদ। শুটিংয়ে যেমন তিনি সময় দিয়েছেন, তেমনি পরিবারের প্রতিটি কাজের দিকে খেয়াল রেখেছেন। প্রথম দিকে পরিবারের প্রতি দায়িত্ব কম থাকলেও মা হওয়ার পর দায়িত্ব বেড়ে যায়। সে সময় অবশ্য অভিনয় কমিয়ে দেন। সিনেমা ও নাটকের বেশির ভাগ শুটিং তিনি ঢাকার মধ্যেই করতেন যেন সন্তানদের সময় দিতে পারেন। সন্তানদের মানুষ করতে অভিনয়টা একটু কমিয়ে দিয়েছিলেন শর্মিলী।
আপনার মতামত লিখুন :