নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদরের বাদিয়াটোলা গ্রামের বিএনপি কর্মী প্রবাসী মেহের আলী হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ওয়াকিটকি, গুলি ও একটি পালসার মোটরসাইকেল।
আটককৃতরা হলো, সদরের ঝাউদিয়া গ্রামের হাফিজুরের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম দুলালের ছেলে সাজ্জাদ ও বাদিয়াটোলার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে তারেক হোসেন।
আটক তিনজনই আদালতে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া আসামিদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলার তদন্তেকালে জানা যায় বাদিয়াটোলা গ্রামের তারেক হোসেন এ হত্যাকান্ডে জড়িত বলে সন্দেহ হয়। এই ঘটনার পর থেকে সে এলাকা ছাড়া। ১১ নভেম্বর তারেককে আটকের জন্য নাটোরের সিংড়া উপজেলার ভুমি অফিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক তারেককে নিয়ে ১২ নভেম্বর রাতে যশোরের নলডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় আরেক ভাড়াটিয়া কিলার সাজ্জাদকে। এরপর ভোর রাতে আটক করা হয় এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রিয়াজ উদ্দিনকে। আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪ রাউন্ড গুলি, ওয়াকিটকি ও হত্যা মিশনে ব্যবহৃত ১টি পালসার মোটরসাইকেল।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, নিহত মেহের আলীর সাথে প্রতিপক্ষ প্রবাসী শহর আলী ও তার ছেলে হাসানদের দীর্ঘদিনের শত্রুতা চলে আসছিল। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন মেহের আলী। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মেহের আলী তার প্রতিপক্ষ শহার আলীর বাড়িতে হামলার হুমকি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শহর আলী বিদেশ থেকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং ভাড়াটিয়া কিলার আকাশ ও সাজ্জাদকে ১ লাখ টাকায় চুক্তি করে শহর আলী। এরপর তারা দুইজন তারেক, রিয়াজকে সাথে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে মেহের আলীকে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, কুয়েত প্রবাসী বিএনপি কর্মী বাদিয়াটোলা গ্রামের মেহের আলী কয়েক মাস আগে দেশের ফিরে আসেন। গত ৯ আগস্ট রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে অপরিচিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় নিহতের পিতা পরদিন কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :