সবার মুখে একই প্রশ্ন: দেশটা কি মগের মুল্লুক হয়ে যাচ্ছে? আমেরিকা-রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা যখন মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার চেষ্টা করছে তখন আমরা কি ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’ যুগে চলে যাচ্ছি! কিছুদিন থেকে দেশে ‘ছাত্র-জনতার’ নাম ব্যবহার করে যা খুশি তাই করা হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল ১৮ কোটি মানুষ।
দেড় যুগ ধরে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে না পারা এবং জুলুম-নির্যাতনের শিকার মানুষ ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। এখন হঠাৎ করে ভয়াবহ অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টির রহস্য কি? প্রশাসনযন্ত্র-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবকিছু অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রণে তারপরও মব জাস্টিস চলছে। ধরো-মারো-কাটো একের পর এক ঘটনা ঘটছে অহরহ। ছাত্র-জনতার নাম দিয়ে জঙ্গলের পশুর মতো হিংস্রতা হচ্ছে; অথচ সরকার নীরব দর্শক! ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার নাম ভাঙিয়ে যা হচ্ছে তা ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’ যুগকে হার মানিয়েছে।
মুঘল আমলের শেষ দিকে এবং ইংরেজ আমলের প্রথমে বার্মার মগদস্যুরা যেভাবে ইচ্ছেমতো লুটপাট, অত্যাচার-নির্যাতন করতো; ‘ছাত্র-জনতা’ নামে দেশে সেরকম পরিস্থিতি চলছে। ছাত্রনেতারা যেমন এ নিয়ে প্রতিবাদ করছেন না বা নিজেদের অরাজক পরিস্থিতির রাশ টানছে না। তেমনি অন্তর্বর্তী সরকারের নীরবতা কি দায় এড়াতে পারবে? হিন্দুত্ববাদী ভারত ও দিল্লিতে পলাতক হাসিনা বাংলাদেশের অনিষ্ট সাধনে যে ওঁৎ পেতে রয়েছে সেদিকে যেন কারো ভ্রক্ষেপ নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ছাত্র-জনতার নামে ঘোষণা দিয়ে এখানে-সেখানে তা-ব চালানো হচ্ছে। ঘোষণা দিয়ে বিভিন্নজনের বাড়িঘর লুটতরাজ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে সরকারকে অকার্যকর করার চেষ্টা হচ্ছে। অথচ সরকার এসব ঠেকাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। সরকারকে অকার্যকর করে ভিন্ন কিছু আনার চেষ্টা হচ্ছে কি না বলা দুষ্কর। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সরকারের ভেতরে একটা অংশ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত কি না? দেশে যা হচ্ছে তা অন্তর্বর্তী সরকারের অস্তিত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে সরকার কি ভিন্ন কিছু আনতে চায়? ঘোষণা দিয়ে গুলশানে তাদের দায় কি সরকারের শীর্ষমহল এড়াতে পারবেন?
সোশ্যাল মিডিয়া এখন অনেক শক্তিশালী। কোনো কিছুই গোপন থাকছে না। দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল এবং টিভি মিডিয়া এখন ইউটিউবে সরাসরি খবর প্রচার করে থাকে। ৪ মার্চ মধ্যরাতে বিভিন্ন চ্যানেলের ইউটিউব লাইফ সচিত্র প্রতিবেদনে দেখা যায়, অভিজাত পাড়া হিসেবে পরিচিত গুলশান-২ নম্বরের ৮১ নম্বর সড়কের একটি ভবন ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। এখানে- সেখানে জটলা, বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তছনছ করা হচ্ছে। তা সব চালানো ব্যক্তিরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা থানায় খবর দিয়ে ওই বাসায় তল্লাশি করছেন।
হাসিনার অলিগার্ক এইচ টি ইমামের ছেলে সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের বাসায় কয়েক শ’ কোটি টাকা রাখা আছে এমন খবরের অজুহাতে এই তা-ব-তল্লাশি চালানো হয়। গণমাধ্যমের লাইফ প্রতিবেদনে দেখা যায় কয়েকজন বাসায় ঢুকে তল্লাশির নামে মালামাল তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাট করছে, খোঁজাখুঁজি করে এটাসেটা নিচ্ছে; বাইরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। প্রকাশ্যে এমন তা-বলীলা ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করছে। আগের দিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সালিসের জন্য ডেকে নিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ‘মব জাস্টিস’ তৈরি করে জামায়াতের দুই কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মুদ্রা বিনিময় নিয়ে তর্কের জেরে ইরানের দুই নাগরিককে ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে মারধোর করা হয়। গুলশানের মতো কূটনৈতিকপাড়া এবং ইরানি দুই নাগরিকের ওপর আক্রমণ আন্তর্জাতিক মহলে ভালো বার্তা দেয় না। বিদেশি গণমাধ্যমে এসব খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ হয়েছে। এ ধরনের অপরাধ ঘটনা ঘটতেই থাকলে বাংলাদেশকে ‘বিপজ্জনক দেশ’ তকমা দেয়া হলে জাতিকে ভয়াবহ পরিণতিতে পড়তে হবে। হিন্দুত্ববাদী ভারতের সাংবাদিক-ইউটিউবার ও বাংলাদেশের হাসিনার অলিগার্করা এ নিয়ে অপপ্রচার চালানো শুরু করে দিয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সজীব ওয়াজেদ জয়ের লবিস্টরা এসব নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের হিসাবে ১৪০০ ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয়েছে, কেউ চোখ হারিয়েছে কেউ হাত হারিয়েছে আবার কারো কারো শরীরে শত শত গুলির স্প্রিন্টার। তারপরও ১৫ বছর ধরে জুলুম-নির্যাতনের শিকার মানুষ শান্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে। কিন্তু এনজিও আর চট্টগ্রামকেন্দ্রিক ব্যক্তিদের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের পর মানুষের স্বপ্ন ধূসর হতে শুরু করে। প্রধান উপদেষ্টার ‘ছাত্ররা আমাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে’ এবং একজন ছাত্র ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড ঘোষণা করার পর আমজনতা প্রথম ধাক্কা খায়। ‘
ছাত্ররা ক্ষমতায় বসিয়েছে’ এমন বক্তব্যের পর আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা (সমন্বয়ক) বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। প্রশাসনে নিয়োগ-বদলি বাণিজ্য, পদোন্নতি-পদাবনতি ইত্যাদিকে নাক গলাতে শুরু করেন ছাত্রনেতারা। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে ছাত্রদের মতামতকে অধিক গুরুত্ব দেয়ায় ছাত্ররা নতুন দল গঠনের উদ্যোগ নেয়। ছাত্র-জনতার নামে হেনো কাজ নেই যে, তা হচ্ছে না। দু’দিন আগেও সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা দেশের সূর্য সন্তান। হাসিনা পালানো ও ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিজ্ঞজনেরা ছাত্রদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাদের পরামর্শ হচ্ছে দেশের প্রয়োজনে ছাত্রদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ছাত্রদের ক্লাসে ফিরে গিয়ে লেখাপড়া শেষ করে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
প্রবীণ সাংবাদিক এম এ আজিজ বলেছিলেন, ‘ছাত্ররা যদি লেখাপড়ার বদলে অল্প বয়সে রাজনীতিতে নামে এবং লেখাপড়া অসমাপ্ত রাখেন তাহলে ভবিষ্যতে দেশ মেধাশূন্য নেতৃত্বের কবলে পড়বে।’ কিন্তু তিনজন ছাত্রনেতাকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা করায় অন্য ছাত্রনেতাদের দশা অনেকটা শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের হৈমন্তি গল্পের বাঘের দশার মতো হয়। শরৎচন্দ্র লিখেছেন, ‘নরমাংসের স্বাদ পাইলে মানুষের সম্বন্ধে বাঘের যে দশা হয়, স্ত্রীর সম্বন্ধে তাহার ভাবটা সেইরূপ হইয়া ওঠে’। তদ্রপ তিনজন উপদেষ্টা হওয়ার ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার পর রাজনীতি সম্পর্কে ছাত্রদের ক্ষমতার স্বাদ ভোগের বাসনা হয়েছে।
কেউ কেউ ক্লাসে ফিরে গেলেও ক্লাসে ফেরার বদলে কিছু ছাত্র ‘আগামীতে ক্ষমতার লোভে’ রাজনৈতিক দল গঠনের পথে হাঁটেন। সবখানেই দেখা যায় তাদের পদচারণা। অবস্থাটা দাঁড়িয়েছে সেই ’৭২ সালের মতো। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রথম স্বাধীনতা অর্জনের পর মুজিব বাহিনী, কাদেরিয়া বাহিনী এবং কিছু মুক্তি ফৌজ মুক্তিযোদ্ধা নাম ভাঙিয়ে ‘ধরো-মারো-কাটো’ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। পাকিস্তান কারাগার থেকে লন্ডন-দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফেরা শেখ মুজিব সে দৃশ্য দেখলেও না দেখার ভান করেতেন। কারণ তিনি মনে করতেন যারা ত্রাস করছে তারাই তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখবে। প্রভাব খাটানোর নামে ছাত্রনেতাদের কেউ কেউ দেশে সে অবস্থা সৃষ্টি করেছেন। ছাত্র-জনতার নামে যা খুশি তাই করছেন।
গত ৭ মাসে দেশে যা ঘটেছে তা ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’ (অজ্ঞতার যুগ বলা হয় প্রাক-ইসলামিক) যুগকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ‘আইয়াম’ অর্থ যুগ আর আরবি ‘জাহলুন’ শব্দ থেকে জাহেলি শব্দের সমন্বয়ে আইয়ামে জাহেলিয়া যুগ। ঐতিহাসিক যুগবিন্যাস অনুসারী ইসলাম-পূর্ব দেড় শ’ থেকে দুই শ’ বছর জাহেলি যুগে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতিতে যা খুশি তাই করা যেত। ন্যায়-অন্যায় কিছু ছিল না। আবার দখল-সম্পদ আরোহণ লুটপাটের চিত্র মগদের তা-বলীলার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ভৌগোলিকভাবে আরাকান (বর্তমানের মিয়ানমারের রাজ্য) হলো মগদের দেশ; আক্ষরিক অর্থে মিয়ানমার হলো মগের মুলুক।
১৬২৫ সালের দিকে সমৃদ্ধশালী বঙ্গভূমিতে পর্তুগিজ আর মগ দস্যুরা বঙ্গের অনেক স্থানে লুটপাট চালায়। এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে তাদের ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় খান-ই-দুরান ছিলেন ঢাকার সুবেদার। তিনি দুর্বল চিত্তের হওয়ায় মগ দস্যুদের ভয়ে পালিয়ে যান। মগরা এই অঞ্চলে ইচ্ছেমতো লুটপাট, অত্যাচার-নির্যাতন করে। ১৮২৪, ১৮৫২ এবং ১৮৮৫ সালের যুদ্ধের পরে মগদের শক্তি কমে আসে। মগদের অত্যাচারের সময় প্রশাসনযন্ত্র নীরব ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় একের পর এক ‘মব জাস্টিস’ প্রশাসনের নীরবতায় সেই মগদের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার ইন্ধন এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রশ্রয়ে ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ছাত্র সমন্বয়কদের প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রভাব বিস্তার করতে দেখা যায়। সচিবালয়ের সচিব, জেলার ডিসি, এসপি, উপজেলার ইউএনও-ওসি থেকে শুরু করে অধিদপ্তর-পরিদপ্তর-বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ-মাদরাসার প্রশাসনে ছাত্র সম্বয়কদের নাক গলানোর অভিযোগ ওঠে।
এ সুযোগে সারাদেশে অনেক ‘ভুয়া সমন্বয়ক’ গজিয়ে উঠে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-স্কুল-কলেজ-মাদরাসার গভর্নিং বডি গড়তে প্রভাব খাটান। কেউ কেউ পূর্বশত্রুতার জের ধরেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ছাত্র-জনতার নামে ত্রাস করছে। ছাত্র-জনতার নামে তা-ব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালনের বদলে নীরব হয়ে থাকেন। কারণ পুলিশ প্রশাসনে এখনো আতঙ্ক কাটেনি।
হাসিনা রেজিমে পুলিশ-র্যাব-বিজিবিকে হায়েনার মতো ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছুড়তে বাধ্য করেছিল আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে খুন-গুমের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অনেকে পালিয়ে গেছেন। যারা কাজ করছেন তাদের অনেকেই চাকরিচ্যুত ও গ্রেফতার হয়েছেন। আবার পুলিশ ছাত্র-জনতার অপকা- ঠেকাতে গেলে উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে ‘হাসিনার দালাল’ তকমা দেয় সে ভয়ে পুলিশের দায়িত্বশীলরা নীরব থাকেন। আবার সেনাবাহিনী মাঠে থাকলেও তারা বিতর্কে জড়াতে চান না। ফলে একের পর এক অঘটন ঘটেই চলছে।
এটা ঠিক বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায়। নির্বাচিত সরকারের মতো দৃঢ়তা না থাকলেও নাগরিকের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তাদের। এমনিতেই অর্থনীতির বেহাল দশা। ৭ মাসেও নতুন বিনিয়োগ ও উৎপাদন শিল্পে গতি আসেনি। অথচ একটার পর একটা অঘটন ঘটছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের মধ্যে এ নিয়ে তর্ক-বির্তক চলছে। তাদের অনেকেই বলছেন, মব জাস্টিস ও ধরো-মারো-কাটোর দায় সরকার এড়াতে পারে না। সংবাদ সম্মেলন করে শুধু কথার ফুলঝুরি আর অন্যের ঘাড়ে দায় চাপানোর বদলে এখন কঠোরভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
এমন চলতে থাকলে হাসিনার অলিগার্করা সে সুযোগ নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে গতি বাড়াবে। তা কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। আর এসব নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণায় আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করবে। যেটা দেখার জন্য দিল্লিতে ওঁৎ পেতে বসে রয়েছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা। কবি লিখেছেন, ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি’। সেই জন্মভূমির এ কি দশা?
আপনার মতামত লিখুন :