ডোমারে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনের একদিন পর অবশেষে প্রেমিকার দাবি মেনে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন প্রেমিক যুগল। গতকাল সকালে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য হরি দাস রায়। তিনি জানান, গত রোববার রাত ৩টার দিকে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের সম্মতিতে দুই চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
এরআগে গত শনিবার রাত থেকে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়ী গুপ্তপাড়া এলাকার রাম কৃঞ্চ রায়ের ছেলে প্রেমিক জ্যোতিশ রায় মধুর বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে হাজির হন উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের বাবুপাড়া এলাকার সুকুমার রায় দুলালের কলেজপড়ুয়া মেয়ে।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী ডোমার মহিলা ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী এবং প্রেমিক মধু রংপুর কলেজে এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র। প্রেমিকা বাড়িতে অবস্থান নেয়ার পর থেকে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন প্রেমিক মধু। এর আগে প্রেমিকা বাড়িতে অবস্থান নেয়ার পর থেকে প্রেমিক মধুর পরিবার জানিয়েছিল তিনি তার খালাতো বোনকে ১০ মাস আগে বিয়ে করেছেন।
এই কথা শোনার পর অনশনরত প্রেমিকা জানিয়েছিলেন প্রেমিক মধুর সঙ্গে তার বিয়ে না হলে সে আত্মহত্যা করবে। কলেজছাত্রীটি জানান, চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিক মধু তার সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
ইদানীং সে আমাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। গত শনিবার দুপুরে তার সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে সে জানায় পরে তাকে ফোন দিবে। কিন্তু সে আর ফোন দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমি তার বাড়িতে এসেছি। প্রেমিক মধুর সঙ্গে বিয়ে না হলে তিনি আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছিলেন।
হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা জানান, প্রেমিক মধুর সঙ্গে তার খালাতো বোনের বিয়ের কথাটি মিথ্যা ছিল। ছেলের পরিবারকে বুঝিয়ে অবশেষে দুই পরিবার বিয়েতে সম্মত হয়। ছেলে ও মেয়ে দুইজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরীর বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন দুই পরিবারের সম্মতিতে এবং ছেলের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :