দীর্ঘ দুই মাস পর আবারো বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গম আমদানি শুরু


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ২৭, ২০২২, ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ /
দীর্ঘ দুই মাস পর আবারো বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গম আমদানি শুরু
এম এ রহিম বেনাপোলঃ ভারত থেকে দীর্ঘ দুই মাস পর আবারো বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গম আমদানি শুরু হয়েছে। ট্রেনও ট্রাকে এসেছে ১৫২৩টন গম।  প্রতি মেট্রিক টন গম ২৯ হাজার ৪০১ টাকা।  গমের বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে ১৩ মে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত।
রোববার রাতে ১৪২০ মেট্রিক টন গমবাহী একটি কার্গোরেল আসে বেনাপোল।বৃহস্পতিবার  ট্রাকে আসে১০৩টন। শুল্কমুক্ত সুবিধায় গম ছাড় করা হয়। আমদানি শুরুতে  বাড়ে রেলের রাজস্ব আয়।
কমতে শুরু করেছে স্থানীয় বাজার গমের মুল্য।বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ ভারত তাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও বাজার স্বাভাবিক রাখতে গত ১৩ মে থেকে দেশের বাইরে গম রফতানি বন্ধ করে দেয়।
বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব  কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমাম ও বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি মহাসিন মিলন  জানান, দেশে চাহিদার মাত্র ৩ শতাংশ গম উৎপাদন হয়। বাকি ৯৭ শতাংশ গম রাশিয়া, ইউক্রেন ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন আগ্রাসনে এ দুই দেশ থেকে স্বাভাবিক গম রফতানি বাধাগ্রস্থ হয়। এতে বিশ্বে গমের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। তবে নিষেধাজ্ঞার আগে খোলা এলসির গম রফতানির নির্দেশনা দেয় ভারত। ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে গম আমদানি।
ভারত থেকে গম রফতানি বন্ধের পর বাংলাদেশে রাতারাতি গমের দাম কেজি ৩২ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকায় দাঁড়ায়। তবে নানান জটিলতায় পুরনো এলসির গমও এতদিন আমদানি হয়নি। এখন জটিলতা নিরসনে আবারও ভারত থেকে শুরু হয় গম আমদানি।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, রোববার রাজশাহীর আমদানি কারক বিসমিল্লাহ ফ্লোয়ার মিলস ভারত থেকে একটি কার্গো রেলে ৬০টি কন্টেনারে ১৪২০ মেট্রিক টন গম আমদানি করে। গম আমদানিতে রেল খাতে সরকারের রাজস্ব এসেছে ৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
আমদানি কারকের প্রতিনিধি নয়ন হোসেন জানান, প্রতি কেজি গমের আমদানি মুল্য পড়েছে ২৯.৪০ টাকা। আনুসাঙ্গিক খরচ বাদ দিয়ে আমদানিকৃত এসব গম বাজারে ৩৯ টাকায় বিক্রি করা হবে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় বন্দর থেকে গম ছাড় করা হচ্ছে।
ক্রেতা আরসাদ আলী ও মমিনুর রহমান জানান, ৪০ টাকা দামে গম কিনতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়ে যায়। দাম কমলে উপকার হবে তাদের
স্থানীয় ব্যাবসায়ী শাহজাহান আলী ও আব্দর রহমান জানান, গম আমদানি বন্ধ থাকায় কেজিতে দাম বেড়েছিল ১২ টাকা। এখন আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
গমের  সরবরাহ বাড়লে দাম আরো কুমবে। বন্দর উপ পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন. জানান, দ্রুত গমের চালান ছাড়করণে কাজ করছে সংশিষ্টরা। আমদানি শুরু হওয়ায় বাড়বপ রাজস্ব আয়।
বেনাপোল বন্দরের  সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, পুরানো এলসির গম আমদানি শুরু  হলেও বন্ধ রয়েছে নতুন করে গম আমদানির অনুমতি।
আমদানিকৃত গম খাওয়ার উপযোগী কিনা সেটা পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। গম আমদানি শুরুতে খুশি ক্রেতা বিক্রেতাসহ বন্দর ব্যাবহারকারীরা।