নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত, পানিবন্দি ১০ হাজার মানুষ সাতক্ষীরায়


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ১৭, ২০২২, ৬:৩৩ অপরাহ্ণ /
নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত, পানিবন্দি ১০ হাজার মানুষ সাতক্ষীরায়

দুইদিন পরও খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ মেরামত করা যায়নি। ভাঙন এলাকা দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে গ্রামের ভেতরে। ইতিমধ্যে ৯ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে। দ্রুত বাঁধ মেরামত করা না গেলে রাতের মধ্যে একের পর এক প্লাবিত হবে উপকূলীয় জনপদ।

বৃহস্পতিবার বিকালে জোয়ারের তোড়ে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়। খোলপেটুয়া নদীতে চলে যায় একশ’ ফুট বেড়িবাঁধ। বাঁধের এই অংশে দেড় থেকে দুই ফুট অবশিষ্ট থাকায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেনি।

তবে রাত সাড়ে ১১টায় জোয়ারে সম্পূর্ণ বাঁধ ধসে প্লাবিত হতে শুরু করে জনপদ। গত বৃহস্পতিবার রাতে শ্রামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর দুর্গাবাটি এলাকা ভাঙনের পর বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

পশ্চিম দুর্গাবাটি, পূর্ব দুর্গাবাটি, পশ্চিম পোড়াকাটলা, পূর্ব পোড়াকাটলা, আড়পাঙ্গাশিয়ার একাংশ, ভামিয়া গ্রামের একাংশ, দাতিনাখালি গ্রামের একাংশ এবং মাদিয়া মোট ৯টি গ্রামের ওপর দিয়ে জোয়ারভাটা বইছে। ইতিমধ্যে ১০ হাজার বিঘা জমিতে শ’ শ’ প্রকল্পের রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি ভেসে গেছে।

কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন, সুপেয় পানির পুকুরগুলো লোনা পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে, গবাদিপশুর জন্য রক্ষিত খড়ের গাঁদা ভেসে গেছে। খাবার পানির সংকট দেখা গিয়েছে।

গত শুক্রবার রাতের মধ্যে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পুরোপুরি প্লাবিত হয়ে পার্শ্ববর্তী আটলিয়া ইউনিয়নের ছোট কুপট, হেন্‌চী এলাকা দিয়ে খোলপেটুয়া নদীর লবণাক্ত পানি প্রবেশের আশঙ্কা করেছিলেন এলাকাবাসী।

ইতিমধ্যে ভাঙন শুরু হলে স্থানীয় এমপি এসএম জগলুল হায়দার, উপজেলা চেয়ারম্যান পরিদর্শন করেছেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির জানান, বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৩ হাজার মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বিশুদ্ধ খাওয়ার বিতরণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ২-১ দিনের মধ্যে বাঁধ মেরামত করা যেতে পারে।