নারীদের উদ্দেশ্য করে চাকরির প্রলোভন,তাদের করা হতো শ্লীলতাহানি


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ১৩, ২০২২, ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ /
নারীদের উদ্দেশ্য করে চাকরির প্রলোভন,তাদের করা হতো শ্লীলতাহানি

চাকরির চটকদার বিজ্ঞাপন, টাকা ছাড়াই চাকরির সুযোগ। লোভনীয় চাকরির অফারে যোগদানে এসেই চক্রের খপ্পরে পড়তেন অল্পশিক্ষিত দরিদ্র, নিম্নবিত্ত শ্রেণির চাকরিপ্রত্যাশীরা। তাদের সাথে করা হতো নানা অনিয়ম। প্রতিবাদ করলে নেমে আসতো মানসিক নির্যাতন, প্রশাসনের ভয়, জরিমানা; এমনকি ক্ষতিপূরণের ভয় দেখানো হতো।

শুধু তাই নয়, নারী সিকিউরিটি গার্ডদের সাথে খারাপ ব্যবহার, মানসিক নির্যাতন, জোর করে আটকে রাখা এবং তাদেরকে দিয়ে অতিরিক্ত ডিউটি করাতো রাজধানীর খিলক্ষেতে রিয়েল ফোর্স সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস প্রাইভেট লি. নামক প্রতিষ্ঠান।

প্রতারণা করে বিপুল সংখ্যক চাকরিপ্রত্যাশীর অর্থ আত্মসাৎ এবং নারী চাকরিপ্রার্থীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির এমডি আমির হামজাকে রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানিয়েছে র‍্যাব-১।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

র‌্যাব জানায়, রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় কয়েকটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘ দিন ধরে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসছিল। তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করে এবং সে অনুযায়ী মাসিক বিল কালেকশন করে।

২০২০ সালে কোম্পানিটি লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয় এবং দেশের বড় একটি সুপারশপে সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের বড় চুক্তির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। তারা মূলত সমাজের বেকার, অল্পশিক্ষিত, দরিদ্র পরিবারগুলোকে চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক আরো বলেন, নারী চাকরিপ্রার্থীদের পারিবারিক কলহ ও পরিবার থেকে বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনলাইনে লোভনীয় চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে তারা ঢাকায় চাকরির উদ্দেশে আসে। যোগদানের পর এ চক্রের এমডি আমির হামজা নারীদের কুপ্রস্তাব দেয়াসহ প্রায়ই শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে থাকে বলে তারা অভিযোগ করে।

যারা তার প্রস্তাবে রাজি হয় তাদের অফিসে ডিউটি দেয়া, বিয়ের প্রলোভন দেখানো এবং নিয়মিত বেতন দেন। যারা তার প্রস্তাবে রাজি হয় না সেসব নারীদের সাথে খারাপ ব্যবহার, মানসিক নির্যাতন, জোর করে আটকে রাখা এবং তাদের দিয়ে অতিরিক্ত ডিউটি করানো হতো।