

অভ্যুত্থান–পরবর্তী অস্থিরতা, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্টর সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়ে মতামত দিয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক নিলুফার চৌধুরী মনি। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
নিলুফার মনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সংকটের এমন সময়ে যে ধরনের স্থির, ন্যায়ের পক্ষে এবং জনগণকেন্দ্রিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট ঠিক সেটিই দেখিয়েছেন। সে কারণেই তাকে দশে দশ দেওয়ার মতো ভূমিকা তিনি রেখেছেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং ক্ষমতার পালাবদলের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট কোনো তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত না নিয়ে সংবিধান ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে সচল রাখতে স্থির ভূমিকায় ছিলেন।
নিলুফার মনির মতে, রাষ্ট্রপ্রধান বিচলিত হলে গোটা প্রশাসন ভেঙে পড়ার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু তিনি সেই শূন্যতা হতে দেননি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সহিংসতার ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে প্রেসিডেন্টর নেপথ্য সমন্বয়ই দেশে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সাহায্য করেছে। তিনি প্রকাশ্যে রাজনৈতিক অবস্থান নেননি, তবে রাষ্ট্রীয় স্থিতি আনতে যে নীরব দায়িত্ববোধ প্রয়োজন—তা তিনি রেখেছেন।
নিলুফারের মতে, বিচার-সংস্কার, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পুনর্গঠন—এসব বিষয়ে প্রেসিডেন্টের অবস্থান ছিল স্পষ্ট এবং নীতিনিষ্ঠ। তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভেদ থাকলেও প্রেসিডেন্ট বারবার এই বার্তা দিয়েছেন: জনগণই সর্বোচ্চ ক্ষমতার উৎস। এই নৈতিক কমিটমেন্টই তাকে আলাদা করে রেখেছে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট কোনো দলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয় বরং জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। এই নিরপেক্ষ অবস্থান রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে এবং আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে ভূমিকা রেখেছে।
নিলুফারের মতে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়লেও প্রেসিডেন্ট কখনো পক্ষপাত করেননি। বরং তিনি সবার কাছে একই বার্তা দিয়েছেন—গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ, কোনো গোষ্ঠী নয়।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ছাড়া দেশ এগোতে পারে না। প্রেসিডেন্টর বারবার এই অবস্থান নেওয়া জনগণের আস্থা বাড়িয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :