‘ফারাক্কা লংমার্চ শুধু মিছিল ছিল না, ছিল আন্দোলন’


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : মে ১৬, ২০২৫, ৬:৫২ অপরাহ্ণ /
‘ফারাক্কা লংমার্চ শুধু মিছিল ছিল না, ছিল আন্দোলন’

ফারাক্কা লং মার্চ শুধু মাত্র একটা মিছিল ছিল না, ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। পদ্মা নদীর (গঙ্গা) বাংলাদেশে প্রবেশমুখে ফারাক্কা বাঁধের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের কম বেশী প্রায় দুই কোটি মানুষ সেচের পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। শুধু তা–ই নয়, এই বাঁধের কারণে দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের আরও চার কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচাতে ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নাই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি – এনডিপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যতই দিন গড়াচ্ছে, ততই ফারাক্কার বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশের মানুষকে আতঙ্কিত করছে। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে বাংলাদেশের গঙ্গা ও পদ্মা নদীতে চরের বিস্তার একটি নিয়মিত ঘটনা। পাশাপাশি গঙ্গা–পদ্মার শাখা–প্রশাখাসহ শতাধিক নদ–নদী ক্রমান্বয়ে মৃত খালে রূপ নিচ্ছে।

ন্যাপ মহাসচিব আরো বলেন, ফারাক্কা বাঁধের ফলে নদীর নাব্য হারানোর আশঙ্কায় ও পানির নায্য হিসসার দাবিতে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভাসানীর দেখিয়ে যাওয়া পথ ধরেই আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, এনডিপি ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব হায়াত মাহমুদ প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, ফারাক্কা বাঁধের জন্য দেশের উত্তরবঙ্গের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে। এটা আন্তর্জাতিক নদী কিন্তু ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাঁধ দিয়েছে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা দিয়ে পদ্মাকে মৃত্যু নদীতে পরিণত করেছে। অথচ পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার এই নদী রক্ষায় আপসের রাজনীতি করেছে। অবিলম্বে আন্তর্জাতিক আইন মেনে পানির ন্যায্য হিস্যা বাস্তবায়ন চান তিনি।