দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ হেপাটাইটিস বি এবং শতকরা শূন্য দশমিক ৬ ভাগ হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের বাহক। তাদের মধ্যে অনেকে দীর্ঘমেয়াদি ইনফেকশনে নানা জটিল লিভার রোগে আক্রান্ত। বর্তমানে দেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাসে আক্রান্ত।
হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাসকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য লক্ষণ দেখা যায় না।
এমন পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২২’। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘ব্রিংগিং হেপাটাইটিস কেয়ার ক্লোজার টু ইউ’। দিবসটি উপলক্ষ্যে গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যালি ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোট জনসংখ্যার ৬০ ভাগের অধিক মানুষ গ্রামে বাস করে। গ্রামীণ জনসাধারণের হেপাটাইটিস বি ও সি সম্পর্কে ধারণা অনেক কম। তাছাড়া সচেতনতা, প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও চিকিৎসা অপ্রতুল। এছাড়া ভাইরাল হেপাটাইটিস সম্পর্কে নানা ধরনের ভ্রান্ত ধারণা, কুসংস্কার, অনেক ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা বাধার সৃষ্টি করে।
জটিল অবস্থায় বা শেষ পর্যায়ে রোগ নির্ণয় হওয়ায় রোগ চিকিৎসার বাইরে চলে যায়। ফলে রোগীর জীবন বিপন্ন হয়। চিকিৎসা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শহরকেন্দ্রীক। অনেক সময় প্রয়োজনে গ্রামীণ জনগণের চিকিৎসাসেবা নাগালের বাইরে থেকে যায়।
ভাইরাল হেপাটাইটিস প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগকে আরো এগিয়ে নিতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় হেপাটাইটিস বি ও সি এর প্রতিরোধ ও চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়া যায়।
আপনার মতামত লিখুন :