এরপরে মঞ্চে আসেন শিল্পী সাহস মোস্তাফিজ। তিনি ভাওয়াইয়া গানের সঙ্গে ছোট করে বর্ণনা করেন গানের প্রেক্ষাপট। তিনি শোনান ‘প্রেম জানে না রসিক কালাচাঁন’ ও ‘তোমরা গেলে কি আসিবেন মোর মাহুত বন্ধুরে’।
তামান্না তিথির উপস্থাপনায় একে একে শিল্পীরা ভাওয়াইয়ার সুরে মাতিয়ে তোলেন নগরের সন্ধ্যা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাপ্তি হলো ৫ দিনব্যাপী লোকগানের আসর-মহাজনের পদাবলী। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চে ৮ জুন থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার শেষ হয়।
প্রতিদিনই ছিল বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের লোক সংগীত, বাউল গান। ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, পল্লি, বাউল গানে জমে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। গত ১১ জুনও পরিবেশিত হয় বিখ্যাত শিল্পী বিজয় সরকারের গান। পরিবেশন করেন কিরন চন্দ্র রায় ও মনির বাউলা।
খালেক দেওয়ান, আব্দুল হালিম বয়াতি, দুরবিন শাহ-র মতো বাউল সাধক ও শিল্পীদের গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
আয়োজক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বলছে, বাংলাদেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে আছে বরেণ্য সাধক, মহাজনদের কীর্তি। বাউল, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, জারি সারি কত সুর পথে প্রান্তরে শুনতে পাওয়া যায়। যথাযথ প্রচার ও সংরক্ষণের অভাবে কীর্তিমান এসব সাধক-মহাজনদের অনেকেই কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এ দেশের শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :