ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল নিয়ে তোলপাড়!


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১১, ২০২৫, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ /
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল নিয়ে তোলপাড়!

ভারতকে দেয়া সব ধরনের ট্রানজিট-করিডোর সুবিধা বাতিল; হাসিনার শাসনামলে ঢাকা-দিল্লির সব ধরনের চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন জোরালো হয়ে উঠছে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাগলামি করে বিশ্বের ১৪২টি দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে সিদ্ধান্ত কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পর চীন ছাড়া অন্য সব দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপ সিদ্ধান্ত তিন মাস স্থগিত রেখেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাগলামির মতোই হিন্দুত্ববাদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের রফতানি পণ্য তৃতীয় দেশে পাঠানোর জন্য দীর্ঘদিনের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে।

দিল্লির তাঁবেদারি করতে অভ্যস্ত বাংলাদেশি কিছু ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের ভাবখানা যেন ভারতের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি ‘ডেডলক’ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ যে পাল্টা সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যে পণ্য পরিবহনের সব দুয়ার বন্ধ করে দিতে পারে; সড়ক, নৌসহ সব ট্রানজিট বন্ধ করে দিতে পারে সেদিকে ভ্রæক্ষেপ নেই। মোদি কার্যত বাঘের লেজে হাত দিয়েছেন।

বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করে দেয়ায় কলকাতার হোটেল ব্যবসায়ীদের যে দশা হয়েছে, বাংলাদেশ ভারতের কৃষিপণ্য না কিনলে ভারতের কৃষকদের সে দশা হবে। অবশ্য বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও এতে বাংলাদেশের বড় কোনো সমস্যা তৈরি হবে না। তিনি বলেন, দেশের বাণিজ্যে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে, সে বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারব।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিস) আয়োজিত ‘মালে থেকে ঢাকা : বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারকরণ’ শীর্ষক এক সেমিনারে ঢাকায় কর্মরত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশীদ বলেছেন, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। মালদ্বীপের আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাবিøউটিও) নিয়ম অনুসারে, স্থলবেষ্টিত দেশগুলোকে অবাধ ও নিরবচ্ছিন্ন ট্রানজিট সুবিধা দিতে হয়। বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম লঙ্ঘন করেছে ভারত।

তবে ব্যবসায়ীদের অনেকেই জানান, তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ বা ভারতের বিমান পরিবহন ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে মালদ্বীপকে সহজ ও সস্তা পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ দিয়ে আকাশপথে পণ্য পরিবহনের ফলে ইউরোপের দেশগুলোয় প্রতি কেজি পণ্য পাঠাতে প্রায় এক ডলার পর্যন্ত সাশ্রয় হচ্ছে। তারা বলছেন প্রচলিত পথ ঢাকা, কলকাতা, কলম্বো, সিঙ্গাপুর দিয়ে পণ্য পাঠানো একদিকে যেমন ব্যয়বহুল, অন্যদিকে সময়সাপেক্ষ। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সভাপতি কবির আহমেদ জানিয়েছেন, ‘অন্যান্য রুটে পণ্য পাঠানোর খরচ বেশি হওয়ায় মালদ্বীপের রুটটি সামনে চলে আসে।’

গত মার্চ মাসে চীন সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরের দিন বেজিংয়ের ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল’-এ চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক সংলাপে চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহŸান জানান এবং বঙ্গোপসাগর ঘিরে বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণের প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভারতের সাতটি উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য, যা সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত, তা স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে কোনো অ্যাকসেস নেই। আমরাই এই গোটা অঞ্চলে সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’ ড. ইউনূসের এ বক্তব্যের ‘মূলসুর’ দিল্লির থিঙ্কট্যাঙ্করা বুঝতে ব্যর্থ হয়ে তোলপাড় শুরু করেন। অতঃপর ভারতের কিছু গণমাধ্যম এবং বাংলাদেশের হাসিনার শাসনামলের সুবিধাভোগী কিছু গণমাধ্যম ও ব্যক্তি ভারতের সঙ্গে সুরে মেলায়।

মূলত গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দিল্লির শাসকদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। ভারত নিজেদের স্বার্থে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে। অতঃপর শেখ মুজিবুর রহমানের সময় মুজিব-ইন্দিরা গোলামি চুক্তি এবং বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে বেরুবাড়ি নিয়েছে। ভারত নানা প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের শাসকদের কব্জা করে রাখার চেষ্টা করেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামল ছাড়া সবগুলো সরকারের আমলে তারা বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। অতঃপর ফখরুদ্দিন-মঈন ইউ আহমদকে দিয়ে ওয়ান-ইলেভেন ঘটানোর পর কার্যত ঢাকার সরকারের উপর ভারত পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দিল্লি কার্যত বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রশাসনে নিয়োগ, পদোন্নতি থেকে শুরু করে ঠিকাদারি কোন কাজ কোন কোম্পানিকে দিতে হবে তা ঠিক করে দিতো দিল্লির সাউথ ব্লক। এমনকি শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে গেলে দিল্লি থেকে এনওসি নিতে হতো। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা পালানোর পর বিশ্বের কোনো দেশ আশ্রয় না দিলেও দিল্লি তাকে আদর যত্নে রেখেছে। অতঃপর বাংলাদেশ তথা ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থান, জুডিশিয়াল ক্যু থেকে শুরু করে গার্মেন্টসে অস্থিরতা, পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলছে। হিন্দুত্ববাদী ভারত তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। হাসিনার শাসনামলে দিল্লি থেকে যে নির্দেশনা আসতো তা হাসিনা বাস্তবায়ন করতেন। ভারত নিজেদের প্রয়োজনে যা চাইত হাসিনা ক্ষমতায় থাকার লোভে সেটিই দিয়ে দিতেন। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে শেখ হাসিনা ভারতকে সবকিছু দিয়ে দেয়ার পর দাম্ভিকতা করে বলেছিলেন, ‘ভারতকে যা দিয়েছে তারা সারা জীবন মনে রাখবে’। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে গাদ্দারি করলেও হাসিনা সেদিন সঠিক বলেছিলেন, ভারত তাকে মনে রেখেছে। সে জন্যই হাসিনার পক্ষ নিয়ে ভারত প্রতিবেশী দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশ শুধু নয়, ভারত এমন একটি দেশ যে দেশের সঙ্গে প্রতিবেশী কোনো দেশের সুসম্পর্ক নেই।

ভারত কখনোই বাংলাদেশের কাছে বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে পারেনি। বিশেষ করে আরএসএসের ভাবশীর্ষ নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে দিল্লির শাসকরা ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। সে কারণে ইসলাম ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি হিন্দুত্ববাদী মোদির ক্ষোভ। প্রখ্যাত দার্শনিক বদরুদ্দীন উমরের ভাষায় ‘হাসিনা ভারতের চাকরানী’র দাত্বি পালন করায় দিল্লি তার প্রতি সহানুভ‚তিশীল ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষে প্রতি ভারতের কোনো মানবিকতা দেখা যায়নি। মোদি ক্ষমতায় এসেই ২০১৪ সালে সীমান্ত দিয়ে ভারতের গরু বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়।

ভারতীয় গরু আসা বন্ধ হওয়ার পর বাংলাদেশের সাময়িক অসুবিধা হলেও কয়েক বছরে বাংলাদেশ গরু তথা পশু প্রতিপালনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠে। বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে কৃষকরা গরু পালন করছেন এবং নদীর চরাঞ্চলগুলোতে হাজার হাজার গরু মহিশের বাথান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গরুর গোশতে বাংলাদেশ স্বনির্ভর। ২০১৯ সালে ভারত হঠাৎ করে এক দিনের নোটিশে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে বিমানে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছে।

দেশের মানুষ ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ খেয়েছেন। এখন পেঁয়াজে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। আলু-বেগুন-তরিতরকারিতে বাংলাদেশ এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। হিন্দুত্ববাদী ভারত হঠাৎ হঠাৎ করে এ সব কৃষিপণ্য বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের মানুষ নিজেরা সেগুলো উৎপাদনে ব্রতী হন। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সময় ভ্যাকসিন দেয়ার চুক্তি করে বেক্সিমকো ফার্মার কাছ থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা অগ্রিম নেয়। করোনা মহামারী শুরুর পর নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশমুখী ভ্যাকসিনের চালান বন্ধ করে দেয়। সে সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায় চীন।

দিল্লির নাচের পুতুল হাসিনা পালানোর সময় হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে ভারতে নিয়ে গেছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। তিনি নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলেছিলেন। হাসিনা পালানোর পর তাকে আশ্রয় দিয়ে মোদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো সিদ্ধান্তকে পাত্তা দেয়নি।

ভারত ভিসা বন্ধ করে দেয়ার পর বাংলাদেশের রোগীরা চীনে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন। বাংলাদেশি পর্যটকরা ভারতের বিকল্প হিসেবে মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানে যাচ্ছেন ঘুরতে। দিল্লির নির্দেশে শেখ হাসিনা পাকিস্তানের করাচির সঙ্গে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। এখন চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের সঙ্গে করাচি সমুদ্রবন্দরে সরাসরি বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল শুরু করেছে।

শুধু তাই নয়, শত শত মানুষের খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার কারণে বাংলাদেশের মানুষ ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ আন্দোলন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এবার ঢাকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ভারতীয় পণ্যের তেমন বিক্রি হয়নি। এমনকি ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় পোশাক ক্রয় তেমন করেনি। ফলে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল বাংলাদেশের জন্য ‘সাপেবর’ হবে।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভিন্নপথে বাংলাদেশের পণ্য বিদেশে রফতানি করবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বলা হয় টাইগার (বাঘ)। বাঘের লেজ ধরলে কি হয় ভুক্তোভোগীরাই তা জানেন। বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল কার্যত মোদির বাঘের লেজ ধরে খেলার নামান্তর। বাংলাদেশে এখনই দাবি উঠেছে দিল্লির পুতুল শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারতের সঙ্গে যে সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাংলাদেশের হয়েছে সেগুলো প্রকাশ করতে হবে।

হাসিনা ক্ষমতায় টিকে খাকতে ভারতকে যে সব রেল-সড়ক-নৌ রুটে ট্র্যানজিট দিয়েছে সেগুলো বাতিল করতে হবে। হাসিনার শাসনামলে দিল্লির সঙ্গে ঢাকার দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ হলেই হাসিনা ও মোদির মুখোশ খুলে যাবে। তখন হিন্দুত্ববাদী মোদি বাধ্য হয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথে হাঁটতে বাধ্য হবেন।