ভারত থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরল ৩০ শিশু


Jakir Hossain প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ৭:২৭ অপরাহ্ণ /
ভারত থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরল ৩০ শিশু

স্টাফ রিপোর্ট : পাচারের শিকার ৩০ বাংলাদেশি শিশুকে বেনাপোল সীমান্তে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। এদের মধ্যে ১৯ পুরুষ ও ১১ জন নারী রয়েছে।

বুধবার(১৯ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে তাদের বেনাপোল চেকপোষ্টে ফেরত পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক।

ফেরত আসা শিশুদের আইনী সহয়তা দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর, মহিলা আইনজীবী সমিতি ও জাস্টিস এন্ড কেয়ার গ্রহণ করেছে।

ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন, আলাল মন্ডল,ইউছুপ শেখ, রমজান শেখ, রাজু শেখ ,মলয় মন্ডল,সুদিপ্ত মন্ডোল,নাজিম উদ্দীন,ইয়াসিন,সোহেল সরদার,আরমান মোল্লা,তামিম গাইন,রিফাত হাসান,আব্দুল্লা শেখ, করিমুল খান,সিয়াম মল্লিক, আনোয়ার হোসেন,সপ্না মন্ডল,শাহিন রেজা,অহনা শেখ,রুবি সরদার,মিম খাতুন,শারমিন আলী,টুমবপা পারভিন,সাভা খান,রাবেয়া খাতুন,ঝরনা খাতুন,সামসুর নাহার ও রাজিব ইসলাম। এদের বাড়ি রংপুর,ঠাকুরগাও, খুলনা,যশোর,নড়াইল,সাতক্ষীরা ও মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে।

রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান জানান, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে তারা ভারতে গিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। পরে এদের তথ্য যাচাই -বাচাই শেষে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় স্বদেশ প্রত্যাবাসনের অনুমতি দেয়। মানবাধিকার সংগঠন সীমান্ত থেকে শিশু, কিশোরদের আইনী সহয়তা ও কর্মসংস্থান তৈরীর জন্য প্রাথমিক ভাবে হেফাজতে রাখবে। পরে পরিবারের কাছে তাদের পৌছে দিবে।

জানা যায়, পাচার প্রতিরোধে কাজ করছে দেশি, বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন। তার পরেও থেমে নেই পাচার কার্যক্রম। কখনো ভাল কাজ কখনো প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে নারী,শিশুদের ভারতে পাচার করে আসছে একটি চক্র। পরে সেখানে নিয়ে বিক্রি করে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। যা পাচার হচ্ছে তার মাত্র ৫ শতাংশ উদ্ধার হচ্ছে। বাকিদের কোন সঠিক তথ্য নেই কোন সরকারী বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে। এমন পাচারের শিকার ৩০ বাংলাদেশিকে উদ্ধারের পর ফেরত আনতে সরকারের পাশাপাশি কাজ করে মানবাধিকার ও এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো। এরা বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে আটকের পর ভারতের পশ্চিম বঙ্গের একটি হোমের আশ্রয়ে ছিল। আটকের পর আইনি জটিলতায় কেউ কেউ দুই বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত ভারতের হোমে থাকতে হয়েছিল। পরে ভারত-বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া ট্রাভেল পারমিটে এরা দেশে ফেরার সুযোগ পায়।