মহাকাশে বেতারতরঙ্গের বিস্ফোরণ শনাক্ত


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ১৪, ২০২২, ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ /
মহাকাশে বেতারতরঙ্গের বিস্ফোরণ শনাক্ত

মহাকাশে হৃদ্‌স্পন্দনের অনুরূপ প্যাটার্নসহ একটি রহস্যময় রেডিও বা বেতারতরঙ্গের বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন গবেষকেরা। বিজ্ঞানীরা একে বলেন, ফাস্ট রেডিও বাস্ট৴ বা এফআরবি। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, হৃদ্‌স্পন্দনের অনুরূপ সংকেত প্রায় এক বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্যালাক্সি থেকে এসেছিল। তবে তাঁদের কাছে এ সংকেতের প্রকৃত অবস্থান ও কারণ এখনো অজানা। বুধবার এই রেডিও বিস্ফোরণের বিস্তারিত তথ্য ‘নেচার’ সাময়িকীতে তুলে ধরেছেন গবেষকেরা। খবর সিএনএনের

ফাস্ট রেডিও বাস্ট৴ বা এফআরবি হচ্ছে অজানা উৎস থেকে সৃষ্ট বেতার তরঙ্গের মিলিসেকেন্ড সময়ের তীব্র বিস্ফোরণ। ২০০৭ সালে প্রথম এফআরবি শনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা। এরপর থেকে মহাবিশ্বের বিভিন্ন দূরবর্তী উৎস থেকে আসা এই দ্রুত মহাজাগতিক ঝলকানি অনেকবার শনাক্ত হয়েছে।

অনেক এফআরবি অধিক উজ্জ্বল বেতার তরঙ্গ নির্গত করে যা কয়েক মিলিসেকেন্ড পরেই পুরোপুরি মিলিয়ে যায়। এর মধ্যে ১০ শতাংশের পুনরাবৃত্তি ও একই রকম ধরন বা প্যাটার্ন আছে।

এ ধরনের বেতার তরঙ্গের বিস্ফোরণ এত দ্রুত আর অকস্মাৎ ঘটে যে তা পর্যবেক্ষণ করা কঠিন। এ ধরনের তরঙ্গ শনাক্ত করতে যে রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হয়, তার নাম কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইনটেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট বা সিএইচআইএমই।

কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ডমিনিয়ন রেডিও অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল অবজারভেটরিতে এ টেলিস্কোপটি রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এটির কার্যক্রম চলছে। এটি আকাশ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি এফআরবি শনাক্ত করে।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির কাভলি ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্স অ্যান্ড স্পেস রিসার্চের গবেষক ড্যানিয়েল মিচিলি বলেন, ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সিএইচআইএমই টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এমন কিছু শনাক্ত করেন যা তাঁদের মনোযোগ কেড়ে নেয়।

তাঁদের শনাক্ত করা ফাস্ট রেডিও বাস্ট৴ সব দিক থেকেই ছিল অদ্ভুতুড়ে। এই সংকেতটির নাম দেওয়া হয় এফআরবি ২০১৯১২২১এ। এটি তিন সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। সাধারণ এফআরবির চেয়ে এটি হাজার গুণ দীর্ঘ ছিল।

মিচিলি বলেন, এটি অস্বাভাবিক ছিল। এটি ছিল দীর্ঘ। তিন সেকেন্ড স্থায়ী এই বিস্ফোরণ ছিল পর্যায়ক্রমিক। হৃদ্‌স্পন্দনের মতো সেকেন্ডের প্রতিটি ভগ্নাংশে বুম বুম বুম শব্দ করছিল। এটাই প্রথমবারের মতো কোনো প্যাটার্নের সংকেত ছিল। তবে এরপর থেকে ওই বিস্ফোরণের আর পুনরাবৃত্তি ঘটেনি।