যশোরে পুলিশি অ্যাকশানে দাগি অপরাধীদের গা ঢাকাযশোরে চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। ক্রাইম পয়েন্ট চিহ্নিত করে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে যশোর শহর ও শহরতলীতে চলমান অভিযানে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। মাদক কারবারী, চাঁদবাজ, উঠতি সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন মামলার আসামি আটক হচ্ছে। আবার অনেক মাদক কারবারীর বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হয়েছে।
তবে বড় বড় দাগি অপরাধীরা কেউ আটকের আওতায় আসেনি। অভিযানের খবরে তারা গা ঢাকা দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক সূত্র থেকে তথ্য মিলেছে।
সম্প্রতি যশোরে অব্যাহত খুন, উঠতি সন্ত্রাসীর মাথা চাড়া দেয়া, হত্যা চেষ্টা ও চাকু ছুরির মহড়া বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে। এছাড়া যশোরে কয়েকটি স্পটে মাদক ব্যবসা ও মাদক কারবারীদের কৌশল পরিবর্তনের খবরে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। মাদক প্রতিরোধ, মাদক ব্যবসায়ী আটক, কিশোর অপরাধীদের মুলোৎপাটনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। য
শোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইনের নেতৃত্বে অভিযান চলছে। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর তদন্ত মনিরুজ্জামান, ইন্সপেক্টর অপারেশনসহ চৌকস অফিসারগন কাজ করছেন মাঠ পর্যায়ে।
যশোর শহরের আইন শৃংখলার আশানুরূপ উন্নয়নের লক্ষে মাদক কারবারী অপরাধী চাকু ছুরিধারী উঠতি চক্রের ওয়ার্ড ভিত্তিক তালিকা এগুচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যে যশোর পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডের শতাধিক দুস্কৃতিকারীর তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
বিশেষ করে পুলিশ কৌশলী অভিযানে অপরাধীদের মূলোৎপাটনে কাজ শুরু করেছে। শহরে আইন শৃংখলার আরও উন্নতি ও মানুষের জানমাল নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারী আটক করার ব্যাপারে মাঠে নেমেছে।
বিশেষ করে যশোর শংকরপুর, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, বেজপাড়া, বকচর, রেল রোড, মুজিব সড়ক, মণিহার, উপশহর, পালবাড়ি, ধর্মতলা, খড়কী, রেল স্টেশন, নীলগঞ্জ এলাকায় রয়েছে বড় বড় কয়েকটি মাদক চক্র।
কখনও ভাসমানভাবে, আবার কখনও ভাড়া থেকে পেশা হিসেবে এরা মাদক কারবার করে। আবার কেউ বিভিন্ন আবাসিকে আস্তানা গেড়েও চুরি ছিনতাই করছে। বাড়ির বখে যাওয়া নেশাখোর অনেক ধনীর দুলালও রয়েছে এই তালিকায়।
সূত্রটি জানিয়েছে, অপরাধীদের ওয়ার্ড ভিত্তিক তালিকায় শংকরপুর, চাঁচড়া, রেলস্টেশন, খড়কী এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীদের সংখ্যা বেশি। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বারান্দিপাড়া এলাকা।
যশোরের কম পক্ষে ৫০টি স্পটে গত এক সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছে যশোর কোতোয়ালি পুলিশ। চাঁচড়া, শংকরপুর, বকচর, খড়কী, নীলগঞ্জ, পালবাড়ি ও ধর্মতলা এলাকা থেকে ইতিমধ্যে ৫০জনকে আটক করা হয়েছে বিভিন্ন অপরাধের কারণে। অভিযান এখনও চলমান রয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৩ জুন সন্ধ্যায় যশোর শংকরপুর বাস টার্মিনালের কয়েকটি মাদক ডেরায় অভিযান চলেছে। তবে গত এ সপ্তাহের বিশেষ অভিযানে উল্লেখযোগ্য কোনো দাগি অপরাধী আটক হয়নি। অভিযানের খবরে অধিকাংশ দাগি এখন এলাকা ছাড়া। তাদের আটকের দাবি উঠেছে।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় শংকরপুর টার্মিনাল এলাকার হিরা নামে এ মহিলা মোবাইল ফোনে গ্রামের কাগজ দপ্তরে অভিযোগ করেছেন, অভিযানের নামে পুলিশের একটি টিম তার বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে।
বাড়ির মালামাল বাইরে ফেলে দিয়ে আর্থিক ক্ষতি করেছে। কান্নায় ভেডে পড়ে তিনি জানান, তিনি গরীব মানুষ। পুলিশ যা ইচ্ছা তাই করে গেল। তিনি এ ব্যাপারে আদালতের শ্মরনাপন্ন হবেন।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, অভিযানে অনেক অপরাধী মাদক কারবারী আটক হচ্ছে। এতে করে শহরে অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে।
তালিকা করে আটক অভিযান চলছে, ভাল ফল আসছে। মাদক ব্যবসায়ী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ অস্ত্রবাজ ধরতে অভিযান চলছে চলবে। এছাড়া অভিযান চলায় অপরাধী চক্রের অনেকেই পুলিশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :