যশোরে সাংবাদিক শামছুর রহমানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত 


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ১৭, ২০২২, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ /
যশোরে সাংবাদিক শামছুর রহমানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত 

যশোর অফিসঃ গুলিতে নিহত শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৬ জুলাই যশোরে পালিত হয়েছে। যশোরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র‌্যালি, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিল। 

শোক র‌্যালি নিয়ে শামছুর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন যশোর প্রেসক্লাব, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা। পরে যশোর প্রেসক্লাব ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে পৃথক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেসক্লাব আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন। আলোচনা করেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম উদ দ্দৌলা, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আইয়ুব, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ। সভা পরিচালনা করেন প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এস.এম তৌহিদুর রহমান।

যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল। প্রধান অতিথি ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলী।
সভায় বক্তারা শামছুর রহমান কেবল হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পুনরায় চালু করে হত্যা মামলার প্রকৃত আসামিদের বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।

সাংবাদিক শামছুর রহমানকে তার অফিসে গুলি করে হত্যা করা হয় ২০০০ সালের ১৬ জুলাই রাতে। সিআইডি এই মামলায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ২০০১ সালে। পরে মামলাটি বর্ধিত তদন্ত করে নতুন করে আসামি করা হয় সাংবাদিক ফারাজী আজমল হোসেনকে।

২০০৫ সালের জুন মাসে বর্ধিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর মামলাটির চার্জ গঠন করেন যশোরের স্পেশাল জজ আদালত। মামলার বাদীকে না জানিয়ে একই বছরের জুলাই মাসে মামলাটি স্থানান্তর করা হয় খুলনার দ্রুত বিচার আদালতে।

মামলার বাদী শামছুর রহমানের স্ত্রী সেলিনা আকতার ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে বিচারিক আদালত পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন হাইকোর্টে।

আবেদনে বলা হয়, ‘মামলার অন্যতম আসামি খুলনার হিরকসহ মামলার অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। সেজন্য বাদীর পক্ষে খুলনায় গিয়ে মামলার সাক্ষ্য দেওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ।’

আপিল করার পর মামলাটি কেন যশোরে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না, সে মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে মামলার আসামি সাংবাদিক ফারাজী আজমল হোসেনও রিট করেন হাইকোর্ট। রিটের নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলার সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।