রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তা, আতলেতিকোকে হারিয়ে শেষ আটে হাসি রিয়াল মাদ্রিদের


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : মার্চ ১৩, ২০২৫, ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ /
রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তা, আতলেতিকোকে হারিয়ে শেষ আটে হাসি রিয়াল মাদ্রিদের

দুর্দান্ত সব আক্রমণ,পিছিয়ে পড়ার পর প্রত্যাবর্তন, পেনাল্টি মিস,নাটকীয়তাই ঠাসা টাইব্রেকার-সব মিলিয়ে রিয়াল-আতলেটিকো শেষ ষোলোর লড়াই পরিণ হয়েছিল রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারে। যেখানে শেষ হাসি রিয়াল মাদ্রিদের।

বুধবার রাতে নিজেদের মাঠে কনর গ্যালাহেরের ৩০ সেকেন্ডে করা গোলে মূল ম্যাচ অ্যাতলাটিকো ১-০ ব্যবধানে জিতলেও দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান হয় ২-২। অতিরিক্ত সময়েও কেউ গোল না পাওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। তাতে ৪-২ গোলে জিতেছে রিয়াল। পেনাল্টি শ্যুট আউটে অ্যাতলেটিকোর আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজের শট বাতিল হয় ডাবল টাচের কারণে। এর বাইরে লরেন্তে ব্যর্থ হন গোল করতে, তার শট লাগে বারে। রিয়ালে লুকাস ভাসকেস ছাড়া বাকি বল জড়ান জালে। দুই দলের প্রথম লেগে রিয়াল জিতেছিলো ২-১ ব্যবধানে।

টাইব্রেকারে কিলিয়ান এমবাপ্পে, জুড বেলিংহাম, ফেদেরিকো ভালভের্দে এবং আন্তোনিও রুদিগার লক্ষ্যভেদ করলেও মিস করেছেন লুকাস ভাসকেজ। অন্য দিকে আতলেতিকোর হয়ে আলেক্সান্দার সোরলথ, আনহেল কোরয়ো গোল করলেও মিস করেছেন আলভারজে ও মার্কোস লরেন্তে।

রিয়ালের নাটকীয় এই জয় ভিনিসিয়ুসকে ট্র্যাজিক হিরো হওয়া থেকেও বাঁচিয়ে দিয়েছে। চ্যাম্পিয়নস লিগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বরাবরই বড় ম্যাচের তারকা। সেমিফাইনাল-ফাইনালে এগিয়ে এসে দলের দায়িত্ব নিতে দেখা গেছে তাঁকে। আজকের ম্যাচটা শেষ ষোলোর হলেও গুরুত্ব একটুও কম ছিল না। তবে এবারের চিত্রনাট্যটা লেখা হয়েছে ভিন্নভাবে। যেখানে লেখা ছিল না ভিনির নায়ক হওয়ার কথা। এমনকি পেনাল্টি মিস করার কারণে হতে পারতেন ভিলেনও। কিন্তু সতীর্থরা এবং ভাগ্য তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।

এর আগে ঘরের মাঠ মেট্রোপলিটানোতে ম্যাচ শুরু হতে না হতেই আটলেটিকো নিখুঁত আক্রমণ, মাত্র ২৭ সেকেন্ডেই রিয়ালে জালে বল। থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করলেন ইংলিশ মিডফিল্ডার কনর গ্যালাঘের। । পুরো প্রথমার্ধেই কার্লো আনচেলত্তির দল ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিল না। অ্যাথলেটিকো একের পর এক আক্রমণে জানিয়ে দিল—এই ম্যাচ তাদের সহজে ছাড়া নেই!

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অবশ্য রিয়াল নিজেদের ঝাঁকিয়ে নেয়। এবং মোক্ষম সুযোগটা এসেই যায়—এমবাপ্পেকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেয় অ্যাথলেটিকো। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এগিয়ে এলেন পেনাল্টি নিতে এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে মিস করলেন।

আর তাতে এই মৌসুমে আরেকবার রিয়ালের পেনাল্টি সমস্যা দৃশ্যমান হলো। এমবাপ্পে দুইবার মিস করার কারণেই সম্ভবত ভিনিসিয়ুসকে পেনাল্টি শট নিতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনিও সুযোগ নষ্ট করেন।

নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময় শেষেও অ্যাতলেতিকো দ্বিতীয় লেগের খেলা ১-০ তে এগিয়ে থেকে শেষ করে। পেনাল্টি শুটআউটে প্রথম চেষ্টাকেই গোল বানায় দুই দল। তবে দ্বিতীয় শটে জুলিয়ান আলভারেজের গোল রেফারি বাতিল করে দেন। ডান পায়ে শট নিতে গিয়ে সামান্য পিছলে যাওয়ায় তার বাঁ পা বলে লাগে। বলে দুইবার পা লাগায় বাতিল হয় গোল, নয়তো ২-২ গোলে সমতায় থাকতো অ্যাতলেতিকো।

রিয়ালের চতুর্থ শট নেওয়া লুকাস ভাসকেসকে থামিয়ে অ্যাতলেতিকোকে ম্যাচে ফেরান ইয়ান ওবলাক। কিন্তু মার্কোস লরেন্তের ডান পায়ের শটে গোলবারে বল আঘাত করলে ফের পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। পঞ্চম শটে অ্যান্তনিও রুডিগার জাল কাঁপালে রিয়াল জয়ের আনন্দে ভাসে।

সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রিয়াল খেলবে আর্সেনালের বিপক্ষে।