রৌমারী এখনও পানিবন্দি ৪০ হাজার মানুষ


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুন ১৫, ২০২২, ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ /
রৌমারী এখনও পানিবন্দি ৪০ হাজার মানুষ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত আছে। বাড়ি বাড়ি পানি ওঠায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। অনেক পরিবারে খাদ্য সংকট দেখা দিলেও তালিকা তৈরী না হওয়ায় ত্রাণ তৎপরতা শুরু করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।

অন্যদিকে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ধরলা, ব্রহপুত্র, ধরলা, দুকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত চার দিন ধরে উপজেলার সীমান্তের নদী জিঞ্জিরাম, ধরনী ও কালজানির পানি বাড়ার ফলে বন্দী জীবনযাপন করছে রৌমারীর চার ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। উজানের পাহাড়ি ঢলের লালচে কাদা পানিতে মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। দুর্ভোগ বেড়েছে পশু-পাখিরও।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রৌমারীর প্রায় ২শ ২৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। কাদামাখা পানিতে তলিয়ে থাকা উঠতি আউশ ধান, পাট, মরিচ, কাউন ও তিলসহ বিভিন্ন সবজি জাতীয় ফসল ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক।

শৌলমারী ইউনিয়নের কৃষক সেফাত উল্ল্যা বলেন, আমার কাউন ক্ষেত, সবজি ক্ষেত ৪ দিন ধরে পানিতে তলিয়ে আছে। সব ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।

যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, তালিকা দেওয়া হয়েছে কিন্তু সরকারিভাবে এখনও কোন বরাদ্দ পাইনি। পেলে বন্যা কবলিতদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী জোবায়েত হোসেন জানান, বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল জানান, এখনও প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ পানিবন্দি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরীর কাজ শেষ হলেই ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।