শত্রুর মাথার খুলি দিয়ে খাবারের পাত্র!


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ১৯, ২০২২, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ /
শত্রুর মাথার খুলি দিয়ে খাবারের পাত্র!
শত্রুদের মেরে তাদের মাংস খান আসমত উপজাতির লোকজন। নিউ গিনি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। এই দ্বীপের ঘন জঙ্গলে আসমত উপজাতি বাস করে। তারা কুখ্যাত শত্রুদের মারে তাদের মাংস খাওয়ার জন্য।

জানা যায়, এ উপজাতির যোদ্ধারা নৃশংসভাবে শত্রুদের হত্যা করেন এবং তাদের মাংস খাওয়াকে উপভোগ করেন। শত্রুর মাথা কেটে খাওয়াকে বীরত্ব এবং উপজাতীয় আনুগত্যের প্রতীক বলে মনে করেন তারা।

আসমত উপজাতিরা প্রথমে শত্রুর কাটা মাথার বাইরের অংশের চামড়া কেটে বাদ দেন। এরপর আগুনে ভিজে ফেলেন মাংসযুক্ত খুলি।

অন্যদিকে, আসমত উপজাতির ভয়াবহ এই আচারপদ্ধতি অন্যান্য উপজাতির মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও তারা নিজেরা বিশ্বাস করে, ‘মানুষের মাথা একটি পবিত্র খাদ্যবস্তু এবং মানুষের মাথাকে গাছের ফলের সঙ্গেও তুলনা করেন তারা।’

শত্রুর মাথা কাটার পর শুরু হয় বাকি দেহ নিয়ে তোড়জোড়। বলা হয়, কাটা দেহ নিজেদের উরুর উপর রেখে প্রার্থনা করেন তারা। তারা মনে করেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির দৈহিক ক্ষমতা তাদের কাছে চলে আসবে।

শিকার করা মানুষের খুলিগুলো অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করার পাশাপাশি বাড়ির সাজসজ্জাতেও কাজে লাগান এই উপজাতি গোষ্ঠী।

বিস্ময়ের ব্যাপার হল- এই আসমত উপজাতিরা মাথার খুলিগুলোকে বালিশ হিসেবেও ব্যবহার করেন। আবার, তারা মাথার খুলিগুলোকে অর্ধেক করে সেটা খাবার খাওয়ার পাত্র হিসেবেও ব্যবহার করেন। যদিও এই উপজাতির প্রধান খাদ্য বিভিন্ন প্রাণীর মস্তিষ্ক ও সাগো কৃমি।

এই উপজাতি মৃতদেহের মেরুদণ্ডের বিভিন্ন অংশ এবং চোয়াল দিয়ে কানের দুলও বানান। তারা নিজেদের কোনো সদস্যের মৃত্যু হলে সেই সদস্যের মাথাও কেটে নেন। সেই কাটা মাথা থেকে চোখ ও ঘিলু বের করে নেন।

তারা বিশ্বাস করেন, মৃত্যুর পর নাকের ছিদ্র বন্ধ করে রাখলে প্রেতাত্মারা শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। তাই মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির নাকের ছিদ্রও বন্ধ করে দেন তারা।

উল্লেখ্য, আমেরিকার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট নেলসন রকফেলারের পঞ্চম সন্তান মাইকেল রকফেলার ১৯৬১ সালের নভেম্বরে নিখোঁজ হন আসমত জনগোষ্ঠীর এলাকা থেকে। পরে এক গোয়েন্দাকে পাঠানো হলে জানা যায়, আসমতরা সম্প্রতি এক শ্বেতাঙ্গকে মেরেছেন। খুলি সংগ্রহের পর জানা যায় সেটি শ্বেতাঙ্গের।

সৌভাগ্যক্রমে বর্তমানে আসমতরা আর শত্রুপক্ষের মাথা কেটে বা খুলি বের করে খান না। ১৯৮০ সালের পর থেকে এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।