শার্শা প্রতিনিধি : যশোরের শার্শায় নারীর ক্ষমতায়নে ৩দিন মেয়াদী আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার বেলা ৫টার সময় প্রধাণ অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়ালে) এ কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, ইরেসপো-২ পর্যায়, বিআরডিবির মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মাসুদুর রহমান। ৩দিন মেয়াদী কর্মশালাটি সোমবার সকাল ৯টা শার্শা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন (বিআরডিবি) কর্মকর্তা আবু বিল্লাল হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (ভার্চুয়ালে) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিয়ুর রহমান-এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব এস এম মাসুদুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক (ইরেসপো)-২য় পর্যায়, রাশেদুল আলম।
এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপণী অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কর্মকর্তা (ভূমি) ফারজানা ইসলাম, যশোর জেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (ইরেসপো) ২য় পর্যায়ের উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান, কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র মন্ডোল, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইলিয়াছ হোসেন, সমবায় কর্মকর্তা এম আক্কাস আলীসহ স্থানীয় বিভিন্ন সফল খামারী ও উদ্যোগতাগণ।
নারীর ক্ষমতায়নে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (ইরেসপো)-২ পর্যায়ের প্রকল্প পরিচালক রাশেদুল আলম জানান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সমবায় বিভাগের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কর্তৃক দেশের ১৭ টি জেলার ৫৯ টি উপজেলার পল্লী অঞ্চলের দরিদ্র অসহায় সুবিধা-বঞ্চিত ও বেকার মহিলাদের দারিদ্রতা হ্রাস, কিশোরীদের শতভাগ বাল্যবিবাহ হ্রাস, সঞ্চয়ে উৎসাহিতকরণ ও গ্রামীণ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে জীবন-মানের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে “দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্প (ইরেসপো)-২য় পর্যায়” বাস্তবায়িত হচ্ছে।
১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোর সফরকালে এ অঞ্চলের নারীদের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২৬ মেয়াদে এই প্রকল্প চলছে।
প্রকল্পের অধীনে নারীদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ শেষে আয় বর্ধণমূলক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋণ হিসেবে ৮% সেবামূল্যে ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং উদ্যোক্তা ঋণ হিসেবে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হচ্ছে।
এছাড়া, এই প্রকল্পের আওতায় কিশোরিদের শতভাগ বাল্যবিবাহ রোধকল্পে প্রকল্পভুক্ত ৫৯ টি উপজেলার ১১৮ টি স্কুলে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির ছাত্রীদের নিয়ে কিশোরী সংগঠন পূর্বক কিশোরীদের ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, প্রজনন স্বাস্থ্য, ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিনামূল্যে স্যানেটারী ন্যাপকিন ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
তাছাড়া কিশোরী বয়স হতে সঞ্চয়ে উৎসাহিত করার জন্য প্রতি মাসে নিজ সঞ্চয়ের দ্বিগুন প্রণোদনা অর্থাৎ কিশোরী ১ শত টাকা সঞ্চয় করলে প্রকল্পের আওতায় সরকার হতে ২ শত টাকা প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :