শার্শা উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের সম্মুখ পথ যেন এখন মরণফাঁদ 


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ২৫, ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ণ /
শার্শা উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের সম্মুখ পথ যেন এখন মরণফাঁদ 

স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরের শার্শা উপজেলা একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। সব দিক থেকে একটি সুনামধারী ইতিহাস প্রশিদ্ধও। এর প্রাশাসনিক দপ্তরগুলোও দীর্ঘ সময়কালের মধ্যে দৃষ্টি নন্দনের পথে এগিয়ে গেছে অনেক।  তারপরও বলা যায় এটির কিছু অপূর্ণতাও আছে। যা আমি আজ বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি গোচরে আনতে একটি ঘটনার কথা নিবেদন করবো। সে কথাটি সরকার বাহাদুরকে অবহিত করতে আমি এই সামান্য ভূমিকা উপস্থাপন করেছি।

গত ২৪ জুলাই সকাল ১১টার পরে আমার ‘সারসা বার্তা’র সম্পাদক মহোদয় এক বিশেষ জরুরী কাজে শার্শা উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরে যান। উনি নিজে মোটর সাইকেল বা বাইকে চড়ে যান। উপজেলা প্রশাসনিক ভবন বাউন্ডারীর পূর্ব পাশের সড়কের গা ঘেঁষে এই উপজেলা মহিলা কার্যালয় অবস্থিত। গেটে প্রবেশ করে অফিস কক্ষের দিকে ১০/১৫ হাত এগোতেই সম্পাদক মহোদয় ভয়ঙ্কর স্যাঁতসেঁতের উপর আচমকা দুর্ঘটনায় পড়ে যান। মহিলা অধিদপ্তরে একমাত্র অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর পার্সন আবুল কালাম তার নিজ চেম্বারে দায়িত্ব পালন  করছিলেন।

অফিসে কোন কর্মচারী নেই কেউ ছিলেন না। এ অফিয/কার্যালয়টি বাউন্ডারী পাচিল দ্বারা বেষ্টিত। ভিতরে অনেক গুলো বড় বড় মেহগিনি গাছ। আর এই গাছের ছায়ায় সব সময় ছায়া থাকে বিধায় সূর্যের আলো প্রবেশ করে না ফলে বর্ষায় অফিসের সামনের পথটি স্যাতলা থাকে। সারসা বার্তা’র সম্পাদক মহোদয় ধীরে ধীরে ভিতরে ঢুকে এগিয়ে যেতেই আচমকা দুর্ঘটনায় পতিত হন এবং তিনি পড়ে যান, মোটর সাইকেলের বাম দিকে চাপা পড়েন। উঠার চেষ্টা করেও উঠতে পারছিলেন না তিনি। এ দৃশ্য অদূরে চলে যাওয়া এক ভদ্র মহিলা দেখতে পেয়ে তিনি পুবের গেটের কাছে থাকা একটি লোককে ডেকে সম্পাদককে উঠতে সাহার্য করতে আহবান করেন।

লোকটি এ দৃশ্য দেখে ব্যস্তত্রস্থে আসেন এবং মোটর সাইকেলটি তুলে সম্পাদক মহোদয়কে উঠতে সাহার্য করেন। সম্পাদক মহোদয় মোটর সাইকেল সহ বামদিকে পড়েন তাঁর বাম পায়ের হাটু এবং পায়ের পাতা গোড়ালি গাড়ির নিচে চাপা পড়ায় মারাত্মক ভাবে আঘাত পান। তাঁকে উঠতে সাহার্য করায় উনি উঠে অফিসের বারান্দায় ওঠেন এবং আবুল কালাম সাহেব আছেন অফিসে আছেন কিনা জানতে চায়লে তিনি তার রুম থেকে বেরিয়ে এসে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে আছি। আমাদের কোন ভবন নাই। কবে সরকার বাহাদুর দিবেন তা আমরা জানিনা। আপনারা যখন আসবেন একটু সাবধানে আসবেন। শার্শা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের টিনের ছাউনীর ভবন দারুণ বেমানান, কর্ম সম্পাদনের অনুপযোগী।

আর এ অফিসের বাউন্ডারি জমির পরিমান কতটুকু সে বিষয়ে জানতে চাওয়ায় আবুল কালাম জানান জমির মোট পরিমান ৫৩ শতক যা কাঠার হিসাবে ১ বিঘা আড়াই কাঠারও বেশী। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এতো জমি থাকা সত্যেও কেন এই অফিসের জণ্য সরকার এখনো পর্যন্ত ভাবনের বরাদ্দ দেননি কেন সেইটেতো প্রশ্নের উদ্রেক করে। আজকে সারসা বার্তার সম্পাদক মহোদয় দুর্ঘটনায় পড়লেন কাল যে অন্যকেও পড়বেন না তার নিশ্চয়তা দেবেন কে? দিতে পারবেন না। তাই আমি আজ এই মুহূর্তে শার্শা বাসীর পক্ষথেকে মহিলা বিষয়ক সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের শার্শা ‘উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের’ জন্য অতিদ্রুত একটি ভবন নির্মানের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জোরদাবী জানাচ্ছি।