সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদাকে বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে আজ সোমবার তিনি এ কথা বলেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলছেন “ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কিছু ত্রুটি রয়েছে। ইভিএমের ব্যালট ইউনিটকে টেকনোলজির আওতায় আনা যায়নি।” তাহলে ধরনের ত্রুটিপূর্ণ ইভিএম দিয়ে কেন সাবেক সিইসি ভোট করলেন।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পরেও কুমিল্লা-৬ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এলাকা ত্যাগ না করায় নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে বলে জানান হারুনুর রশীদ।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের অসহায়ত্ব প্রকাশ প্রমাণ করে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সম্পূরক বাজেটে নির্বাচন কমিশনের জন্য ৭৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে হারুনুর রশীদ বলেন, নির্বাচন কি বাংলাদেশে হচ্ছে? নির্বাচনের নামে প্রহসন ও তামাশা হচ্ছে।
হারুন বলেন, সাবেক ও বর্তমান কমিশনাররা কিন্তু নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সুস্পষ্ট চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন ।
হারুনুর রশীদ বলেন, ই-কমার্সের নামে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতার কারণে পুলিশের কর্মকর্তা রানা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাকে আনতে পারছে না।
তাদের সঙ্গে আমাদের এত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, অন্ততপক্ষে, কানাডা, ইউরোপ, আমেরিকা বাদই দিলাম, ভারত যে সমস্ত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করল, তাদের ফেরত আনতে হবে। জনগণের টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে যে টাকা লুটপাট হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, টাকা পাচার করে বিদেশে বেগম পাড়া বানিয়েছে, বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা জমিয়েছে। এই টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য দায়মুক্তি দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
আপনার মতামত লিখুন :