

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন – সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে রায়ের পর তাকে ফেরত চেয়ে সম্প্রতি ভারত সরকারকে যে চিঠি লিখেছে বাংলাদেশ, সেটির কোনো জবাব দিল্লি এখনো দেয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বিচারে দণ্ডপ্রাপ্ত ও অপসারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়ে ভারতকে পাঠানো সর্বশেষ অনুরোধের জবাব বাংলাদেশ প্রত্যাশা করছে। তবে চিঠি পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই জবাব মিলবে- এমনটি ধরে নেয়া হচ্ছে না।
তিনি আজ বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি না যে ঢাকার অনুরোধ পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা জবাব দেবে। তবে আমরা জবাবের প্রত্যাশা করছি।’
উপদেষ্টা জানান, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (আইসিটি-১)-এর রায়ের পর ঢাকা আনুষ্ঠানিকভাবে নোট ভার্বাল পাঠিয়েছে ভারতের উদ্দেশে, যা নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের মাধ্যমে পাঠানো হয়।
তৌহিদ হোসেন জানান, ভারত জবাব দেবে না এমনটি বাংলাদেশ মনে করছে না; তবে সাত দিনের মধ্যেই উত্তর আসবে এমন প্রত্যাশা নেই। সর্বশেষ নোট ভার্বালটি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের হাইকমিশনের মাধ্যমে।
গত ১৭ নভেম্বর আইসিটি-১ শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য দিয়ে সহযোগিতা করায় সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রায় ঘোষণার পরদিনই উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, ঢাকা আনুষ্ঠানিকভাবে পলাতক দুই দণ্ডপ্রাপ্তকে দেশে ফেরত আনার অনুরোধ পাঠাবে। তখন তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান ভারতকে জানাবো। চিঠিটি আজ রাতে বা কাল সকালে যাই যাক, নিশ্চিতভাবেই যাবে।’
বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ অতীতেও ভারতের কাছে অনুরোধ পাঠিয়েছে, তবে কোনো জবাব পায়নি। ‘এখন পরিস্থিতি ভিন্ন, বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে,’ তিনি যোগ করেন।
উপদেষ্টা নিশ্চিত করেন, বাংলাদেশের অনুরোধটি দুই দেশের বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনেই পাঠানো হয়েছে।
সূত্র : বাসস ও বিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :