নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত অক্টোবর মাসে সর্বমোট ২২৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো পিবিজিএমএসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, অক্টোবর মাসে জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৯৮৬ গ্রাম স্বর্ণ, ১৪ হাজার ৩০২টি শাড়ি, ১৫ হাজার ২৩টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরি পোশাক, ২৭ হাজার ৬৫২ মিটার থান কাপড়, ২ লাখ ৫০ হাজার ৭২২টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৩ হাজার ১৪৯ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ২৬৫ কেজি চা পাতা, ৪ লাখ ১৬ হাজার ৭১১ কেজি চিনি, ৪ হাজার ১৩০ কেজি সার, ৮৬ হাজার ৭৫০ ঘনফুট কয়লা, ২০ হাজার ৪৪০টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৪০ হাজার ৬৪০টি চশমা, ৯৪২ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ১৫ হাজার ৩৩৪ কেজি সুপারি, ৯০ হাজার ৯০৪ কেজি রসুন, ১ হাজার ৩১৮ কেজি পেঁয়াজ, ২২ হাজার ৮৮৯ কেজি জিরা, ৪টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ২১টি ট্রাক, ২৪টি পিকআপ, ৫টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৯টি ট্রলি, ৩৪৭টি নৌকা, ৫৩টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৮১টি মোটরসাইকেল এবং ২৪টি বাইসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি পিস্তল, ৩টি গান জাতীয় অস্ত্র, ১টি রাইফেল, ১টি রিভলভার, ৩টি গ্রেনেড, ১টি রকেট বোম্ব, ২টি ম্যাগাজিন এবং ২৭০ রাউন্ড গুলি।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৯৭৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩ কেজি ১৯৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১১ কেজি ৮০২ গ্রাম হেরোইন, ২৬ হাজার ৫৯৯ বোতল ফেনসিডিল, ২১ হাজার ৬০৫ বোতল বিদেশি মদ, ৪৪৪ লিটার বাংলা মদ, ৯৮৮ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৪১২কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৪০ হাজার ১৯৬ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৭৪ হাজার ৬৫৬টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৪ হাজার ৩৬২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১৯ কেজি ৩৩৩ গ্রাম কোকেন, ১ হাজার ৮৫৯ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫৮টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ২ লাখ ২১ হাজার ৩৪৬টি এ্যানগ্রো/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ২০ বোতল এলএসডি এবং ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪০টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪৩ জন চোরাচালানি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ২৮ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ২৯৮ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।