‘অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে যাবে যখনই রোডম্যাপ ঘোষণা হবে’


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : মে ২০, ২০২৫, ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ /
‘অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে যাবে যখনই রোডম্যাপ ঘোষণা হবে’
  • নির্বাচন নিয়ে আমজনতা ও সচেতন নাগরিকদের ভাবনা ‘সব জল্পনা-কল্পনা, সংশয়, অস্থিরতা, অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে যাবে যখনই রোডম্যাপ ঘোষণা হবে’ দ্রুত রোডম্যাপ চায় জনগণ

‘নির্বাচন হবে কবে’? ‘দেশে সহসা আদৌ কি নির্বাচন হবে’? সচেতন সাধারণ মানুষের মাঝে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা ঘুরেফিরে উঠে আসছে। চারিদিকে ঘিরে ধরেছে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা। আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা এমনকি চলতি পথে নিরাপত্তায় নেই জনমনে আস্থা ও স্বস্তি। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, শেয়ারবাজার, বিদেশে শ্রমবাজারসহ অর্থনীতিতে মন্দার ছায়া। রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কোনদিকে ধাবিত হচ্ছে দেশ ও জনগণ? বন্দরনগরী চট্টগ্রামের রাজনীতি সচেতন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষজনের আলাপচারিতায় তাদের মতামত ব্যক্ত করে বলেছেন, নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দরকার। তাহলেই সব জল্পনা-কল্পনা, সংশয় ও অনিশ্চয়তার কালো মেঘ কেটে যাবে। রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলে সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক, ছাত্র সংগঠন, নাগরিক মহলসহ গোটা দেশ ও জনগণ হয়ে যাবে নির্বাচনমুখী। আশ^স্ত হবে সবাই। বিদেশের বন্ধু দেশসমূহ, দাতাগোষ্ঠি, বিনিয়োগকারীদের কাছেও পৌঁছে যাবে সুস্পষ্ট ও শুভ সঙ্কেত।

এ মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণার কোনো বিকল্প নেই। চট্টগ্রামের আমজনতার কথা মতামত হলো- নোবেলবিজয়ী বিশ^বরেন্য ব্যক্তিত্ব প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, অবিস্মরণীয় একটি নির্বাচন জনগণকে উপহার দেয়া। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করে হাসিমুখে যাতে বিদায় নেন। চাটগাঁর মানুষজন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গৌরবের মুকুটরূপে দেখেন।

হাজারো ছাত্র-জনতার তাজা প্রাণ, হাজারো পঙ্গুত্ব ও আহতের বিনিময়ে গৌরবময় গণ-অভ্যূত্থান তথা ৫ আগস্ট বিপ্লবে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ও তার দোসর ভারতে মোদির আশ্রয়ে পলায়নের ইতিহাস রচিত হয়। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মূল স্পিরিট যে বৈষম্যমুক্তি, সবচেয়ে ‘নিকৃষ্ট বৈষম্য’ হয়েছে ফ্যাসিস্ট আমলে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া। ফ্যাসিবাদ বিদায়ের সাথেই দেশবাসী জনগণ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সুন্দর ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন করে আশায় বুক বাঁধে। কেননা ভারতের চক্রান্তে বলীয়ান হয়ে হাসিনার আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দানবীয় শাসনকালে বিগত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিন তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি।

‘রাতের ভোট’ ও ‘গায়েবী ভোটে’র সার্কাসে নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠায় হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দুনিয়ার মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারিত (লাইভ) চট্টগ্রামের একটি সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে ‘রাতের ভোটের’ প্রমাণস্বরূপ। ‘বাংলাদেশে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম-১০ আসনের শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কেন্দ্রে গিয়ে সকালে ভোট গ্রহণের আগে (সকাল ৭টায়) ব্যালট বাক্স ভরা দেখলেন বিবিসি সংবাদদাতা’ (বিবিসি নিউজ, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ইং)।

আজ যাদের বয়স ৩৫ বা ৩৬ তারা অর্থাৎ দুয়েকটি প্রজন্ম এখনও ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগই পায়নি। এ অবস্থায় দেশের নবীন-প্রবীণ ভোটারদের সাথে সমগ্র দেশবাসী মুখিয়ে আছে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কখন হবে তার রোডম্যাপের দিকে। কারণ ভোটার জনগণের ভোটদানের ‘ক্ষুধা’ গত সাড়ে ১৫ বছরেও মিটেনি। এই ‘ক্ষুধা’ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানে জনগণই রাষ্ট্রক্ষমতার মালিক। জনগণের এই ক্ষমতার উৎস হলো নির্বাচনে ভোটদান। যা মৌলিক নাগরিক অধিকার।

ভোটাধিকার প্রয়োগে বঞ্চিত কোটি কোটি জনগণের দীর্ঘকালের সেই ‘ক্ষুধা’ কবে মিটবে? প্রবাদ আছে, ‘যার বাপকে কুমির খেয়েছে সে ঢেঁকি দেখলেও ভয় পায়’! নির্বাচন নিয়ে সাড়ে ১৫ বছরে পোড় খাওয়া জনগণ এবং মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর সংশয়-অনিশ্চয়তার কারণটা ওই প্রবাদের মতো। ‘ক্ষুধা’র পরিণামফল কী হতে পারে তা ফিলিস্তিনের খ্যাতিমান কবি, লেখক মাহমুদ দারবিশের ‘আইডেন্টি কার্ড’ কবিতায় ফুটে উঠেছে। তিনি লিখেছেন: ‘সাবধান… সাবধান… আমার ক্ষুধার ব্যাপারে; আর, আমার ক্রোধের ব্যাপারে’!

নির্বাচন নিয়ে চট্টগ্রামের আমজনতা ও সচেতন নাগরিকদের ভাবনা কেমন জানতে চাইলে তারা বলেছেন, কবে নির্বাচন হবে তা সরকারকে অবিলম্বে পরিস্কার করতে হবে। দ্রুত রোডম্যাপের দিকে তাকিয়ে আছে ভোটাররা অর্থাৎ জনগণ। রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের মাঠে নামতে উদগ্রিব। তারাও রোডম্যাপের অপেক্ষায়। আলাপচারিতায় নানাশ্রেণির লোকজন জানান তাদের কথা হলো- প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘সংস্কার কম হলে আগামী ডিসেম্বরে, বড় সংস্কার হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে সংসদ নির্বাচন’। ডিসেম্বরে যদি নির্বাচন হয়, বাদবাকি মাত্র ৭ মাসে নির্বাচনের প্রস্তুতি এখনই শুরু হওয়া অপরিহার্য। সবকিছু খোলাসা করে ধোঁয়াশা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এরজন্য রোডম্যাপ দেয়া আবশ্যক। তাহলে অনিশ্চয়তার গুমোট মেঘ দূর হবে।

নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রসঙ্গে আলাপকালে একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম গতকাল শনিবার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এটা তাড়াতাড়ি হবে বলে মনে হয় না। সরকার ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন এবং তাতে একাত্মতা ঘোষণার প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে চায়। এতে করে আরো ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগতে পারে।

এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনবিদ ‘সুজন’ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপের ঘোষণা এখনো না আসায় অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সরকার বলছে ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আবার কিংস পার্টি এনসিপির নেতারা বলছেন, সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন নয়। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সংস্কারের প্রক্রিয়া যতটা দীর্ঘ হবে, সংস্কারের নামে নির্বাচন হবে ততই বিলম্বিত। ছেলে-ভোলানো কথাবার্তা না বলে অবিলম্বে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা অত্যন্ত জরুরি। দেশে সুশাসন, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, আইন-শৃঙ্খলা, সামাজিক শৃঙ্খলার স্বার্থে তা অপরিহার্য।

বিজিএমইএ’র সাবেক সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, জুলাই বিপ্লবে এতো আত্মত্যাগের মূল স্পিরিট জনগণের ভোটে একটি নির্বাচিত সরকার। নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ চলতে পারে না। খুন-খারাবি বেড়ে গেছে। পোর্ট চার্জসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসায় ও শিল্পে খরচ বেড়ে গেছে। বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, উৎপাদনসহ অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচিত সরকার আবশ্যক। এরজন্য নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার বিকল্প নেই।

আল-আমিন বাড়িয়া দরসে নেজামী কামিল মাদরাসার শাইখুল হাদীস মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান আল-কাদেরী বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের কাছে চট্টগ্রামের গৌরব সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূসের কাছে দেশ ও জাতির প্রত্যাশা অনেক বেশি। বাংলাদেশের সচেতন জনগণের এখন প্রাণের দাবি নির্বাচন। জরুরি সংস্কারগুলো দ্রুত শেষ করে অবিলম্বে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেয়া এবং এরজন্য দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করা সবার প্রত্যাশা।

চট্টগ্রাম বন্দর সংযুক্ত শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, এ সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনের জন্য দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করা। রোডম্যাপ ঘোষণা বিলম্বিত হলে দেশে বিশৃঙ্খলা বাড়বে। তখন আন্দোলন হলে সরকার কীভাবে সামাল দেবে? করিডোর, বন্দরকে বিদেশিদের হাতে দেয়া, অতিবেশি সংস্কার- এগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়।

নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক লেখক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে তার সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা সরকারের আবশ্যিক দায়িত্ব। বর্তমানে যেভাবে অনৈক্য ও বিভাজন বাড়ছে তা নিরসনের জন্য নির্বাচন দ্রুত দিতে হবে। রোডম্যাপ ঘোষণা হলেই নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণ।

সউদী আরব প্রবাসী বাংলাদেশী (চট্টগ্রাম) কাইছার চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের বিকল্প কেবলই গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের প্রধান শর্ত হচ্ছে সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ‘খারাপ’ সরকারও অনির্বাচিত যে কোনো সরকারের চেয়ে উত্তম। শুধুই সঠিক নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের আশি ভাগ সমস্যার সমাধান হবে। সামগ্রিক সংস্কার জরুরি এবং তা অনুশীলন ও সময়ের ব্যাপার। বর্তমানে দেশের সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান স্থবিরতা ও অস্থিরতায় প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারাও উদ্বিগ্ন। এ অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক প্রিন্সিপাল সৈয়দ আবু সালেহ বলেন, ৫ আগস্টের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল নির্বাচন দ্রুত অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখন নির্বাচন যতই দেরি হচ্ছে ততই দেশ অস্থিরতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলে জনগণ একটি সুন্দর নির্বাচনের মধ্যদিয়ে প্রত্যাশিত সংসদ এবং গণতান্ত্রিক সরকার পাবে।

ইতিহাস গবেষক, লেখক সাংবাদিক জামাল উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে রোডম্যাপ নিয়ে রাজনৈতিক দলসহ নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা না পাওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলো একধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন যত দ্রুত হবে, ততই জাতির জন্য মঙ্গল। অন্যথায় দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার শঙ্কা থাকছেই। সামগ্রিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে দ্রুত জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।

বিশিষ্ট সাংবাদিক সমাজসেবক মো. খোরশেদ আলম বলেন, সংস্কারের পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা জরুরি। দেশের সার্বিক উন্নয়নে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরেপক্ষ নির্বাচন এখন সময়ের দাবি। কারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে।

ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৃণমূল রাজনৈতিক নেতা মো. শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, দেশের সার্বিক অস্থিতিশীলতা, অনিশ্চয়তা নাজুক অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে। এই ক্রান্তিলগ্নে শিগগিরই নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করা প্রয়োজন। ভোটার জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য উদগ্রিব। সেটাই দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। গ্রাম-ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রান্তিক জনগণও চায় একটি নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনায় আসুক। নির্বাচিত সরকার দায়িত্বে না আসা পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক সঙ্কট, বেকারত্বসহ সামগ্রিকভাবে চলমান নাজুক পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।