- ছবি : সংগৃহীত
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। এই সময় অস্ত্রের পাশাপাশি মাদক উদ্ধারেও অভিযান চালানো হবে। কোটা আন্দোলন, পরবর্তীতে সরকার বিরোধী আন্দোলনের জের ধরে ব্যাপক সহিংসতা চলার সময় বিভিন্ন থানা ও পুলিশের স্থাপনায় হামলা, ভাঙ্গচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। সেই সময় পুলিশের অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাট হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র লুণ্ঠিত হয়েছিল। তার মধ্য থেকে ৩ হাজার ৭৬৩টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এখনো পাওয়া যায়নি ২ হাজার ৬৬টি অস্ত্র। এসব অস্ত্রের মধ্যে চায়নিজ রাইফেল, এসএমজি, পিস্তল, শটগান, টিয়ারগ্যাস লাঞ্চার, গ্যাস গান রয়েছে।
এছাড়া ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২টি গুলি, বিভিন্ন ধরনের টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গ্রেনেড, সাউন্ড গ্রেনেড ইত্যাদি লুষ্ঠিত হয়েছিল। তার মধ্য থেকে এখনো ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি গুলি, প্রায় ৯ হাজার টিয়ারগ্যাস, আড়াই হাজার সাউন্ড গ্রেনেডসহ অন্যান্য ধরনের গোলাবারুদ উদ্ধার হয়নি।
কারো কাছে এসব অস্ত্র ও গুলি থাকলে জমা দেয়ার জন্য সর্বশেষ মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। এরপর বিশেষ অভিযানে যাদের কাছে অস্ত্র বা গুলি পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি