এহসান এ সিদ্দিক
২০২৫ সালের ১০ মে রাতের একটি অনির্ধারিত সংবাদ বিবৃতিতে, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ঘোষণা করেন যে, উপদেষ্টা পরিষদ আওয়ামী লীগের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ছাত্র এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যদের নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ এবং আরো পরে যার সাথে যোগ দেয় হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী দল, এমন সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তটি এসেছে। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ, এ বিক্ষোভ আন্দোলন উসকে দেয়, যা অন্তর্বর্তী সরকারের স্থিতিশীলতায় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা মূলত নিজের স্থিতিশীলতা রক্ষার ভাবনা থেকে এসেছে বলে প্রতীয়মান হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাবও এ ক্ষেত্রে লক্ষ করা যাচ্ছে। এ ছাড়াও, সিদ্ধান্তটি যথাযথ আইনি পর্যালোচনা ছাড়া গৃহীত হয়েছে বলেও প্রতীয়মান হয়। যদিও এ সিদ্ধান্তকে বিক্ষোভকারীরা স্বাগত জানিয়েছেন, তথাপি এটি অনেক গুরুতর আইনি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
প্রথমত, সরকারের ঘোষণার পক্ষে যে আইনি ভিত্তি তুলে ধরা হয়েছে, তা পর্যালোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। ১০ মে তারিখের বক্তব্যে ড. আসিফ নজরুল উল্লেখ করেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’-এর অধীন সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে, যেখানে বিশেষভাবে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বে ক্রমবর্ধমান হুমকি সৃষ্টি করছে, সিদ্ধান্তটি গ্রহণে এ যুক্তির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। একটি লিখিত বিবৃতিতে ড. আসিফ নজরুল ঘোষণা করেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদি ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’ তবে ২০০৯ সালের আইনের ১৮(১) ধারা বিশ্লেষণ করলে সরকারের সিদ্ধান্ত এবং আইনের মধ্যে একটি গুরুতর অসঙ্গতি লক্ষ করা যায়। ঘোষণার সময়, এ আইন সরকারকে শুধু কোনো সংগঠনকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা দিয়েছিল; তবে এমন কোনো বিধান ছিল না যাতে কোনো দলের অস্তিত্ব বজায় রেখে শুধু তাদের কার্যক্রম সীমিত করা যায়। অতএব, সরকার প্রদত্ত ঘোষণা, যেখানে আওয়ামী লীগকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ না করে কেবল দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম সীমিত করার কথা বলা হয়েছে, সেটি আইনের নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে বলে মনে হয়। এ কারণে এই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর স্পষ্ট সীমাবদ্ধতাগুলো বিবেচনায় আনলে, আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমকে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা ছাড়া সীমিত করার অনুমতি না থাকার ব্যাপারে যে ড. আসিফ নজরুল অবগত ছিলেন না, বিষয়টি মেনে নেয়া কঠিন। এমন একটি মৌলিক আইনি ভুল শুধু অসাবধানতার ফল ছিল, ধারণাটিও একইভাবে অবিশ্বাস্য। সাম্প্রতিক এক নজিরের প্রেক্ষাপটে ঘটনাটি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে : আওয়ামী লীগ সরকার নিজে এই একই আইন প্রয়োগ করে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যে প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং আইনিভাবে পর্যালোচিত হয়। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে ড. নজরুলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এ ছাড়াও একই আইন প্রয়োগ করে ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়ার সাথেও তিনি সংশ্লিষ্ট ছিলেন। সুতরাং আইনটি সম্পর্কে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
এ পরিস্থিতিগুলো দৃঢ়ভাবে ইঙ্গিত দেয় যে সরকারের পদক্ষেপটিতে কোনো আইনি ভুল ছিল না, বরং এটি ছিল একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক চাল। মনে হচ্ছে, সরকার আওয়ামী লীগের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিতে ইচ্ছুক ছিল না, তবে নিজেদের (অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের) স্থিতিশীলতা এবং অস্তিত্ব রক্ষার উদ্বেগ থেকে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী, সরকার কেবল তখনই কোনো সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, যদি বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকে যে, সংশ্লিষ্ট সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত। কিন্তু ড. আসিফ নজরুল তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় এমন কোনো অভিযোগ করেননি। তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার কোনো উল্লেখ নেই। বরং তিনি দলের কার্যক্রম সীমিত করার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচার চলছে। তিনি যুক্তি উপস্থাপন করেন, ওই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত অভিযোগকারী, সাক্ষী ও জুলাই বিপ্লবের অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষার জন্য দলটির কার্যক্রম স্থগিত রাখা প্রয়োজন।
তবে এসব যুক্তি যত গুরুতর হোক না কেন, তা ২০০৯ সালের আইনে নির্ধারিত মানদণ্ড যথাযথভাবে পূরণ করে না। আইনটির কার্যকারিতা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ দাবি করে, শুধু বিচারাধীন মামলার উপস্থিতি বা সাক্ষীদের সুরক্ষার উদ্বেগ এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত কোনো উল্লেখ না করে এবং তার পরিবর্তে বিচার প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার উদ্বেগের ওপর নির্ভর করে, সরকার আইনটির আইনি শর্তগুলো এড়িয়ে গেছে।
ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, সরকারের সিদ্ধান্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোর আওতায় কোনো ভিত্তি ছিল না। এমনকি ছাত্ররাও সরকারের ঘোষণার বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে শুরু করেন। তাই প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দ্রুত আইন উপদেষ্টার বক্তব্য প্রযোজ্য আইনের সাথে সামঞ্জস্য করার উদ্যোগ নেন। ১১ মে, ড. আসিফ নজরুলের জনসমক্ষে ঘোষণা দেয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে, সরকার ২০০৯ সালের আইন সংশোধন করে এমন বিধান যুক্ত করে; যা সরকারকে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ না করে শুধু কার্যক্রম নিষিদ্ধের ক্ষমতা দেয়। এ আইনি সংশোধন স্পষ্টত আগের রাতে ঘোষিত সিদ্ধান্তকে ভূতাপেক্ষভাবে বৈধতা দেয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। এখানে বিশেষভাবে উল্লখ্য যে, ১০ মে ড. নজরুল যখন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, তখন তিনি কোনো প্রস্তাবিত আইনি সংশোধন বা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেননি। সংশোধনীটির বিষয়ে পরবর্তী সময়ে চিন্তাভাবনা করা হয়, যখন এটি স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, সরকারকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাবিত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হলে প্রথমে আইনি কাঠামো পরিবর্তন করা জরুরি।
আইন সংশোধনের পর, সরকার ২০২৫ সালের ১২ মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ঘোষণা দেয় যে, আওয়ামী লীগকে সব রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো, এ প্রজ্ঞাপনের প্রস্তাবনায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় যে, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’-এর অধীনে এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মাত্র দুই দিন আগে ড. আসিফ নজরুলের দেয়া যুক্তি থেকে এ ঘোষণায় লক্ষণীয়ভাবে কিছু পরিকল্পিত পরিবর্তন স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যেখানে যুদ্ধাপরাধের বিচারাধীন মামলা এবং সাক্ষীদের সুরক্ষাবিষয়ক উদ্বেগকে নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, সন্ত্রাসবাদের কোনো উল্লেখ ছিল না।
আইনি যুক্তির এ আকস্মিক পরিবর্তন প্রক্রিয়াটির স্বচ্ছতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে। আইন উপদেষ্টার দেয়া প্রাথমিক যুক্তি, ২০০৯ সালের আইনের শর্ত পূরণ করেনি, যার ফলে আইনি ব্যাখ্যা পরবর্তীতে পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হয়। এভাবে, রাষ্ট্রযন্ত্র যেন পূর্বনির্ধারিত একটি সিদ্ধান্তের সাথে মিল রেখে আইনি যুক্তি নির্মাণ করেছে। কৌশলটি শুধু প্রজ্ঞাপনের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করেনি, বরং একটি উদ্বেগজনক শাসনশৈলীর চিত্র উন্মোচন করে, যেখানে আইন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো আইন দ্বারা সীমাবদ্ধ হয়নি।
অবশেষে, ২০২৫ সালের ১২ মে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয় যে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ সাময়িক বিধিনিষেধ আরো কিছু আইনি প্রশ্ন উত্থাপন করে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ বিচারপ্রক্রিয়ার অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে অস্থায়ী বা শর্তসাপেক্ষ নিষেধাজ্ঞার অনুমতি দেয় না। আইন অনুযায়ী, কোনো সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে যে, সেই সংগঠন সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত। এরকম অবস্থায় সরকার পুরো সংগঠন বা তার কার্যক্রমের ওপর পূর্ণ ও স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। তবে, আইনটিতে এমন কোনো বিধান নেই, যা বিচারাধীন মামলার সময়কালসহ বাহ্যিক কারণে সাময়িক বা নির্ধারিত সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুমতি দেয়। অবশ্যই সরকার পরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে অস্থায়ী বা শর্তসাপেক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার অধিকার তার নেই।
নিষেধাজ্ঞাকে ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সাথে যুক্ত করে, সরকার কার্যত স্বীকার করছে যে, তাদের সিদ্ধান্তটি চলমান সন্ত্রাসবাদের হুমকির ওপর ভিত্তি করে নয়। বরং, প্রজ্ঞাপন থেকে অনুধাবন করা যায় যে, নিষেধাজ্ঞাটি তাড়াহুড়া করে আরোপিত হয়েছে। এ ছাড়া এটি সরকারের নিজের স্থিতিশীলতা সম্পর্কে সৃষ্ট উদ্বেগ থেকে প্রণোদিত হয়েছে।
সুতরাং, ২০২৫ সালের ১২ মে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন ঘিরে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, তা সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ -এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধান লঙ্ঘন করেছে। প্রাথমিক ঘোষণার সময় বৈধ আইনি ভিত্তির অভাব থেকে শুরু করে, পরবর্তী সময়ে ‘সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ’ বিষয়টি যুক্ত করা এবং আইনে উল্লিখিত নয় এমন সময়সীমা পর্যন্ত আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, এসব বিষয় থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সরকারের পদক্ষেপগুলো আইনটির ভাষা ও উদ্দেশ্য উভয়ের সাথে সাংঘর্ষিক। এসব প্রেক্ষাপটের বিবেচনায়, প্রজ্ঞাপনটি উচ্চ আদালতে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। তবে বাস্তবে এমন কোনো চ্যালেঞ্জ হওয়ার আশঙ্কা ক্ষীণ। বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগ একটি খুব দুর্বল রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর অনেক শীর্ষ আইন উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আত্মগোপনে রয়েছেন অথবা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এ পরিবেশে সরকারের প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক আইনি প্রতিবাদ ওঠার আশঙ্কা কম, ফলস্বরূপ নিষেধাজ্ঞার আইনি বৈধতা বিচার বিভাগের মাধ্যমে পরীক্ষিত হওয়ার সুযোগও খুব একটা নেই।
লেখক : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নিবন্ধিত কৌঁসুলি।
আপনার মতামত লিখুন :