স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী - ফাইল ছবি
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার দুটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানকে ‘রক্ষার চেষ্টাকারী’ পুলিশ কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালে বড়দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ আলী ও নিউমার্কেট এলাকার হকার মো: শাহজাহান নিহত হন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই দুই হত্যা মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জিয়াউল আহসানসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে বুধবার ঢাকার একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সবুজ আলী ও শাহজাহান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) রমনার পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ ‘যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই’ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করেন।
ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ‘সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ায়’ আনিসুল, সালমান ও জিয়াউলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ। কিন্তু আদালতে ওঠার আগেই বিষয়টি ধরা পড়ায় আবার তদন্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ‘অসুস্থতা’র কথা বলে ছুটিতে চলে গেছেন ওই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যিনি এই কাজ করেছেন, তাকে কিন্তু আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। তিনি মনে হয় এখন ছুটিতে আছেন। ছুটিতে থাকলেও ছুটি বেশি দিন কাটাতে পারবেন না। আমরা তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ধরনের কাজ আমরা কোনো সময় প্রশ্রয় দেব না। এভাবে (চূড়ান্ত প্রতিবেদন) সাবমিট করার কিন্তু সিস্টেম নেই। তিনি প্রসিডিউরও ফলো করেননি।’