জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের জন্য নতুন করে সেজেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এই ভবনে চলবে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম।
১৯০৫ সালে ‘গভর্নর হাউজ’ হিসেবে যাত্রা শুরু করা পুরাতন হাইকোর্ট ভবনটি পাকিস্তান আমলে ‘ঢাকা হাইকোর্ট’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১০ সাল থেকে এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শত বছরের পুরোনো এই ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাশেই টিনশেড স্থাপনা তৈরি করে সেখানে স্থানান্তর করা হয় ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউশন। এর পর থেকে টিনশেড স্থাপনাতে চলে আসছিল বিচারকাজ।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারকাজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে টিনশেড স্থাপনাতে বিচারকাজ শুরু হয়েছে। তবে ট্রাইব্যুনালের অবকাঠামো আন্তর্জাতিক মানের করতে পুরোনো ভবনটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তবর্তীকালীন সরকার। অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুরোদমে শুরু হয় সংস্কার কাজ। সেই থেকে ২২০ জন শ্রমিক রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। দু-তিন দিনের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষে নতুন রূপে ফিরবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সংস্কার কাজ শেষে ভবনটি যে রূপে দেখা যাবে তার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। এদিকে ট্রাইব্যুনাল সংলগ্ন বাগানও নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এই সংস্কার কাজের সার্বিক তদারকি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েক দফায় সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
আপনার মতামত লিখুন :