বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার এক কলেজ ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার ৬দিন পার হলেও তার অবস্থান এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। পরিবারের দাবি, মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়েছে বা তিনি কোনো অজানা পরিস্থিতিতে আটকে আছে। ‘তবে তদন্তে ভিন্ন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদের মতে, শিক্ষার্থীটি স্বেচ্ছায় প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছেন বলেই ধারণা করছে তারা।’

নিখোঁজ শিক্ষার্থী পূজা দাস বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্রী। পরিবার জানায়, ৯ নভেম্বর সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে তার কোনো খোঁজ নেই। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নিয়েও ব্যর্থ হওয়ায় পূজার ভাই রিমন দাস থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি বলেন, বোনের সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ ছিল না। কোথাও থেকে কোনো তথ্যও পাচ্ছি না। খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে আছি।

তবে তদন্ত শুরুর পরই পুলিশের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপে একটি রহস্যজনক বার্তা আসে। বার্তায় লেখা ছিল, আমাকে খুঁজবেন না। আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে আছি এবং ভালো আছি। পুলিশ জানায়, বার্তা পাঠানোর পর নম্বরটি বন্ধ হয়ে যায় এবং আর চালু হয়নি, ফলে প্রযুক্তিগতভাবে ট্র্যাক করা সম্ভব হচ্ছে না।

আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অলিউল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণে মনে হচ্ছে পূজা স্বেচ্ছায় প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছেন। তবে বিষয়টি অপহরণ নাকি স্বেচ্ছায় যাওয়া—এই দুই সম্ভাবনারই তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, পরিবার তদন্তে কিছুটা অসহযোগিতা করছে, যা সত্যতা যাচাইয়ে পরিস্থিতিকে জটিল করছে। আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে মেয়েটির অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

এদিকে পূজার পরিবার পুলিশি ধারণাকে মানতে নারাজ। তাদের দাবি, বোন কোনোদিন এমন কাজ করতে পারে না। পরিবারের উদ্বেগ ও পুলিশের তদন্তে পাওয়া বিপরীত তথ্য মিলিয়ে ঘটনা এখনো ধোঁয়াশায় রয়ে গেছে।