নতুন এক দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা কারাবন্দি ইমরান খানের জামিন মঞ্জুর করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। পাশাপাশি তার মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাওয়ালপিন্ডির গ্যারিসন শহরের আদিয়ালা কারাগারে বন্দি আছেন ইমরান খান। একই কারাগারে বন্দি ছিলেন তার স্ত্রী বুশরা বিবিও। প্রায় ৯ মাস পর গত ২৪ অক্টোবর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
গত ১৩ জুলাই ইদ্দত তথা বিয়ে সম্পর্কিত এক মামলায় ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। কিন্তু ওইদিনই তোশাখানা সম্পর্কিত নতুন এক মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। গত মাসে এই মামলা থেকে বুশরা বিবিকে জামিন দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এরপর তাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
প্রায় এক মাস পর বুধবার (২০ নভেম্বর) ইমরান খানের জামিন মঞ্জুর করা হল। সেই সঙ্গে মুক্তির আদেশও। তা সত্ত্বেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দেয়া হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ তার বিরুদ্ধে এখনও দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্ত্রাসের আরও অনেক মামলা রয়েছে।
ইসলামাবাদ পুলিশের তথ্য মতে, ইসলামাবাদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ৬২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে পাঞ্জাব সরকার পক্ষের এক আইনজীবী জানিয়েছেন, ইমরান খানের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবে ৫৪টি মামলা রয়েছে।
ইমরান খানের মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও তার বোন আলিমা খান বলেছেন, আগামী রোববারের (২৪ নভেম্বর) বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেবেন ইমরান খান। বুধবার (২০ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তোশাখানা মামলায় জামিনের পর ২৪ নভেম্বরের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেবেন ইমরান।