ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ - সংগৃহীত
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। হাজার হাজার প্রতিবাদকারী দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছে। রোববার শুরু হওয়া এই মিছিলে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি সংঘাত বাধে। পুলিশ জানায়, বিক্ষোভকারীরা তাদের দিকে পাথর ছুড়েছে, যার ফলে ১৪ জন কর্মকর্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
তবে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কর্মীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করছে এবং লাঠিচার্জ করছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, সোমবার সকালে ইসলামাবাদের বিভিন্ন স্থানে বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই মিছিল ইমরান খানের দেয়া ‘চূড়ান্ত’ বিক্ষোভের জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইমরান খান তার সমর্থকদের ইসলামাবাদে থাকার অনুরোধ করেছেন, যতক্ষণ না তাদের দাবি পূরণ হয়।
ইমরান খানের স্ত্রী ও সাবেক ফার্স্ট লেডি বুশরা বিবি এই প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জানুয়ারিতে ইমরান খানের সাথে তিনিও দোষী সাব্যস্ত হন। তবে বুশরা বিবি অক্টোবরের শেষের দিকে জামিনে মুক্তি পান।
রোববার তিনি গাড়ি বহরে অংশ নেন এবং গাড়ির ভেতর থেকে মাইক্রোফোনে সমর্থকদের উদ্দীপ্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। আমরা ইমরান খানকে ফিরিয়ে আনার জন্য এখানে আছি এবং তাকে ছাড়া ফিরব না।’
৭২ বছর বয়সী ইমরান খান দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন, তবে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। গত আগস্ট থেকে জেলে খাটছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
এদিকে দেশটির সরকার ইসলামাবাদ-জুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে, মহাসড়ক বন্ধ করার পাশাপাশি কিছু কিছু এলাকায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখেছে।
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া ইমরান খান ২০২২ সালে সামরিক বাহিনীর সাথে মতবিরোধের পর আস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন। তিনি অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
জাতিসঙ্ঘের একটি প্যানেলও তার গ্রেফতারকে স্বেচ্ছাচারী হিসেবে অভিহিত করেছে। ইমরান খান জেলে থাকলেও এখনো পাকিস্তানের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছেন।
সূত্র : বিবিসি