ইসরাইলি কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনির মুক্তি – ছবি : আল-জাজিরা
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে ২০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। চার ইসরাইলি পণবন্দীর পরিবর্তে তাদের মুক্তি দেয়া হয়। শনিবার (২৬ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইলি কারাগারে বন্দী ২০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মুক্তিপ্রাপ্ত ২০০ ফিলিস্তিনির মধ্যে ১২১ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এদের মধ্যে হামাসের ৮১ জন, ইসলামিক জিহাদের ২৩ জন, ফাতাহের ১৩ জন, পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশনের দু’জন এবং ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশনের একজন রয়েছেন। এছাড়া ৭৯ জন দীর্ঘ মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন।
এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে প্রথম দিনে (১৯ জানুয়ারি) তিন পণবন্দীর বিনিময়ে ইসরাইল ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরাইলি পণবন্দীর মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইল তাদের হাতে আটক কয়েক শ’ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ বন্দী বিনিময় শেষ হবে।
এদিকে, গাজা যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে চার ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- কারিনা আরিয়েভ, লিরি আলবাগ, নামা লেভি ও গাই গিলবোয়া-দালাল। হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু উবায়দা এই তথ্য জানিয়েছে।
এ সময় ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গাজায় হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া চার ইসরাইলি সেনা ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। এই তথ্য ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে।
এ সময় তাদের হাস্যোজ্জ্বল ও হাত নাড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। মুক্তিপ্রাপ্ত চার নারী সেনার প্রত্যেকে একটি করে ব্যাগ বহন করে যেখানে হিব্রু ভাষায় ‘ইহুদিবাদ জয়লাভ করবে না’ লেখা একটি বার্তা সুসজ্জিতভাবে লেখা ছিল।
সূত্র : আল-জাজিরা ও এএফপি
আপনার মতামত লিখুন :