- ফাইল ছবি
গাজায় ইসরাইলি নৃশংস হামলায় অসংখ্য পরিবার একেবারে নির্বংশ হয়ে গেছে। বার্তা সংস্থা এপির এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গাজায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৬০টি পরিবারের অন্তত ২৫ জন করে সদস্য নিহত হয়েছে। এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো কোনো ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের 'চারটি প্রজন্ম' শেষ হয়ে গেছে।
ইসরাইলি হামলায় গাজার প্রায় প্রতিটি পরিবারই কোনো না কোনো সদস্য হারিয়েছে। তবে অনেক পরিবার পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে। এপি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বংশধারা বিশ্লেষণ করেছে, অস্ত্র অনুসন্ধানকারীদের সাথে পরামর্শ করেছে, আইন বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে তারপর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা যায়, ইসরাইলিরা সাধারণ মানুষ পরিজন নিয়ে বসবাস করছে, এমন সব ভবন ও আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা করেছে। এসব ভবন ও আশ্রয়কেন্দ্র কোনোভাবেই সামরিক টার্গেট ছিল না। এমনকি কোনো ধরনের সতর্কবার্তাও দেয়া হয়নি। একটি ক্ষেত্রে এক পরিবার সাদা পতাকা দেখেও হামলা থেকে রক্ষা পায়নি।
গাজায় এবারের হামলাটি ১৯৪৮ সালের নাকবা বা 'বিপর্যয়র' চেয়েও বেশি প্রাণঘাতী বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেস্টাইন-আমেরিকান ইতিহাসবিদয় রাশিদ খালিদি বলেন, ১৯৪৮ সালে নিহত হয়েছিল ২০ হাজার। আর এবার ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় না আধুনিক ফিলিস্তিনের ইতিহাসে এ ধরনের কিছু আর ঘটেছে।'
জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে ইসরাইলের একটি হামলাতেই আল জাজিরার ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবু আল-কামসান তার পরিবারের ১৯ জন সদস্য হারিয়েছেন। এপির প্রতিবেদনে তার পরিবারের কথাও উল্লেখ আছে।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার নিচের পরিবারগুলো সবচেয়ে ভয়াবহভাবে তাদের সদস্যদের হারিয়েছে।
* আবু আবু আল-কামসান পরিবারের ৮০ জন সদস্য নিহত হয়েছে।
* ডিসেম্বরে একটি হামলাতেই মাঘরাবি পরিবারের ৭০ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে।
* অক্টোবরের হামলায় আবু নাজা পরিবার ৫০ জন সদস্য নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন গর্ভবতী নারীও ছিরেন।
* কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ডগমুশ গোত্রের শতাধিক সদস্য নিহত হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, এপি