ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বর হামলায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞে উত্তর গাজার এলাকাগুলো চেনার উপায় নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওচা (OCHA) জানিয়েছে, সোমবার থেকে ৩ লাখ ৭৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি তাদের ধ্বংসপ্রায় বাড়িতে ফিরে এসেছেন।
গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর এ হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েল গাজার ওপর অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ৪৭,৩৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১১,৫৬৩ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলে হামাসের ওই আক্রমণে ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০-এর বেশি লোক বন্দি হয়।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের টানা বোমাবর্ষণে উত্তর গাজার অনেক এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফিরে আসা ফিলিস্তিনিরা নিজেদের এলাকা চেনার মতো অবস্থায় নেই। এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ (UNRWA) তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির ওপর প্রভাব ফেলবে এবং গাজার যুদ্ধবিরতির ঝুঁকি বাড়াবে বলে সতর্ক করেছেন সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।
এদিকে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের আক্রমণে ২৪ জন আহত হওয়াকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছেন লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলা থামাতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ এবং মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা এখন অত্যন্ত জরুরি। যুদ্ধে ধ্বংস হওয়া অঞ্চলগুলো পুনর্গঠনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। ফিলিস্তিনিদের টিকে থাকার লড়াই এবং শান্তি পুনঃস্থাপনের জন্য বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :