ইসলামী দল গুলোর প্রতিবাদে রাজধানী উত্তাল, ফিলিস্তিনে ইহুদি বর্বর গণহত্যা বিশ্ব মানবতার জন্য কলঙ্ক!


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : মার্চ ২১, ২০২৫, ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ /
ইসলামী দল গুলোর প্রতিবাদে রাজধানী উত্তাল, ফিলিস্তিনে ইহুদি বর্বর গণহত্যা বিশ্ব মানবতার জন্য কলঙ্ক!

গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা আর ভারতে মুসলিম নির্যাতন একই সূত্রে গাঁথা। ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের ওপর ইসরাইলির চালানো বর্বর গণহত্যা বিশ্ব মানবতার জন্য কলঙ্ক। শুধু আরব বিশ্ব নয়, মানবতার পৃথিবী তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গতকাল বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলা ও মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা বলেন, মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদ আমেরিকার উসকানিতে সন্ত্রাসী ইসরাইলি ফিলিস্তিনের নির্বিচারে হত্যা করছে। ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে অনতিবিলম্বে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।

ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গাজায় ইজরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বলেছেন, ফিলিস্তিন ও গাজায় বছরের পর বছর ধরে যে অমানবিক নির্মমতা চলছে তা মানবতার জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এই হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। গত দুই দিনে এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে যার বেশির ভাগই শিশু ও নারী। এই দৃশ্য সহ্য করা যায় না। তাই এই হত্যাকা- বন্ধ করতেই হবে। সে জন্য জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ওআইসি ও আরব লিগসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দ্রুততার সাথে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গাজায় নজিরবিহীন ইসরাইলি হামলা ও ভারতে মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ উত্তর সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, কে এম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতি মাছউদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, ফজলুল হক মৃধা, নাজমুল হাসান।

মাওলানা ইমতেয়াজ আলম বলেন, ইউরোপে, আমেরিকায় ও ইসরাইলে কি কোনো বিবেকবান মানুষ নেই? মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানগণ কি সব অন্ধ ও বধির? নিষ্পাপ শিশুদের এমন নির্মম মৃত্যু ও গণহত্যার পরও কি ইসরাইলকে থামানোর মতো কেউ নেই বিশ্বে? তাহলে এই সভ্যতা, এত এত সংস্থার কী দরকার? যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরাইল একতরফা মুসলমানের রক্তের নেশায় মেতে উঠেছে। ইসরাইলের এই বর্বরতা সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে। ভারত সরকার যদি মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ না করে তাহলে বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্য বর্জন এবং প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ভারত তাদের কর্মকা-ে প্রমাণ করেছে তারা অসভ্য ও বর্বর জাতি। পুরানা পল্টন মোড় থেকে একটি বিরাট মিছিল বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে এসে ইসরাইলি ও ভারতীয় পতাকা এবং নরেন্দ্র মোদির কুশপত্তলিকায় বিক্ষুব্ধ জনতা অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় জনতার রুদ্ররোষ সৃষ্টি হয়। পরে দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যা ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বাদ জুমা দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। তিনি গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সমাবেশে তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা আর ভারতে মুসলিম নির্যাতন একই সূত্রে গাঁথা। ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের ওপর চালানো বর্বর গণহত্যা বিশ্ব মানবতার জন্য কলঙ্ক। শুধু আরব বিশ্ব নয়, মানবতার পৃথিবী তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। কিন্তু আফসোস, মুসলিম বিশ্বও আজকে গতানুগতিক মৌখিক প্রতিবাদ করে বসে রয়েছে। তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসন থেকেও ভারতের মুসলমানদের রক্ষা করতে হবে। মিছিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, জায়নবাদ আর হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসন পৃথিবীকে বিষাক্ত করে তুলছে। উভয় অপশক্তির বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে জাগিয়ে তুলতে হবে। ওরা আমাদেরকে মানবতার সবক শেখায়! মানবতার হন্তারক ওরা। ওরা পৃথিবীর মানবতাকে গলাটিপে হত্যা করছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা রাকীবুল ইসলামের পরিচালনায় বিক্ষোভ মিছিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি মুফতি ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা আতিকুল্লাহ, মাওলানা শরিফুজ্জামান জসিম ও হাফেজ শামসুল আলম।

উলামা জনতা ঐক্য পরিষদ : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধ করতে মুসলিম উম্মাহসহ জাতিসংঘকে অনতিবিলম্বে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। আমেরিকার সহযোগিতায় রাতের অন্ধকারে ফিলিস্তিনে ঘুমন্ত হাজার হাজার শিশু ও নারিকে শহীদ করছে। আজ কোথায় তাদের মানবতা। এদিকে ভারতও ইসরাইলের সাথে তাল মিলিয়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করে শহীদ করছে। মোদি সরকারের সহযোগিতায় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শাসক সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধিতে আক্রমণ করার সাহস দেখিয়েছে। ভারত সরকারের মনে রাখতে হবে, যদি মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসী আক্রমণ বন্ধ না করা হয় তাহলে অচিরেই ভারতও টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।

মুফতি ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, ইসরাইল, আমেরিকা ও ইসরাইলের সাথে সব প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। ইসরাইল আমেরিকা ও ভারতের সব পণ্য বয়কট করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উলামা জনতা ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ইসরাইল ও ভারতের মুসলমানদের উপর বর্বর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে মুফতি ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। মুফতি শফিকুল ইসলামের সঞ্চালয় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন আসিফ আদনান, ড. মেহেদি হাসান, তারেক রহমান, ড. আসিফ সৈকত, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আবু তাসমিয়া আহমাদ ও নাজমুল হক।

জাতীয় ইমাম পরিষদের মানববন্ধন : ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা, নির্বিচারে শিশু-নারী হত্যাকা- এবং ভারতে মুসলমানদের ওপর ক্রমাগত নিপীড়ন ও সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের উদ্যোগে ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, আলেম-উলামা, ইমাম, খতিব ও ধর্মপ্রাণ জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া বলেন, গাজায় মুসলিম গণহত্যা ও ভারতে মুসলমানদের ওপর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নির্যাতন মানবতার চরম লঙ্ঘন। দুঃখজনকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হচ্ছে। বরং পরোক্ষভাবে জালিমদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, গাজায় মুসলমানদের রক্তের বন্যা বইছে, একদিকে মসজিদ ধ্বংস করা হচ্ছে, অন্যদিকে ভারতের মুসলমানরা জুলুম-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে এত বড় ষড়যন্ত্র চললেও বিশ্ব শক্তিগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের চরমভাবে ব্যথিত ও বিক্ষুব্ধ করেছে।

তিনি ইসরাইলি হত্যাকা- বন্ধে জরুরি উদ্যোগ নেয়ার জোর দাবি জানান। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইমাম পরিষদের মহাসচিব মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী, মুফতি আব্দুল্লাহ ইদ্রিস, মুফতি মুহাম্মদুল্লাহ নোমানী, মুফতি আমানুল্লাহ বসন্তপুরী, মুফতি ফারহান নাজিম, মাওলানা কামাল উদ্দীন নোমানী, মাওলানা ইকবাল হুসাইন, মাওলানা মুহসিনুল করীম।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গাজায় হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, অথচ মানবাধিকারের দাবিদার বিশ্বশক্তিগুলো চোখ বন্ধ করে রেখেছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলা প্রমাণ করে, তারা শান্তির নামে ধোঁকা দিচ্ছে। এ হত্যাযজ্ঞের বিচার হতে হবে। আমরা মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন ইসরাইল ও ভারতের সব পণ্য বয়কট করে এবং তাদের অর্থনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মানববন্ধন থেকে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধের বিচার, ভারতের মুসলমানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিশ্বের মুসলিম নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার জোরালো দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি : বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পাটির আমির আল্লামা সারওয়ার কামাল আজিজী ও মহাসচিব মুসা বিন ইযহার এক বিবৃতিতে বলেন, ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল রমজানের পবিত্রতা লঙ্ঘন করে যে নির্মম ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে তা প্রতিহত করতে হলে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। তারা সেখানে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের নির্বিচারে হত্যা করছে। বোমা হামলায় রক্ত ঝরছে নিরীহ মানুষের। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশ্ব আর বসবাসের উপযোগী থাকবে না। আমরা ইসরাইলের বর্বরতা ও তাদের সহযোগী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ফিলিস্তিনের ওপর হামলায় চার শতাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনি মৃত্যুবরণ করেছে। ফিলিস্তিনে ছোট ছোট শিশু ও সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। এই নির্মমতা আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়, কিন্তু বিশ্ব বিবেক যেন নির্বিকার। সভ্যতার নামে যারা আমাদের নীতিকথা শোনায়, তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে কেন কথা বলে না এ প্রশ্ন আজো রয়ে গেছে। দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইল ক্রমাগত ফিলিস্তিনকে কোণঠাসা করছে। যদি এই নিপীড়ন চলতে থাকে, তবে কয়েক দশকের মধ্যেই ফিলিস্তিন বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং ন্যায়সঙ্গত অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে। বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, বিশ্বের সব দেশকে আহ্বান জানাই যেন তারা তাদের নীরবতা ভেঙে মজলুম ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ায়। ফিলিস্তিনের মুক্তি অর্জন আনতে হলে আমাদের প্রত্যেককে জিহাদি জজবা নিয়ে গর্জে উঠতে হবে।

নেজামে ইসলাম পার্টি : নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মুফতি হারিসুল হক এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিতে ইসরাইলি গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়, ইসরাইল ও তার দোসর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। ইসরাইলের সন্ত্রাসী বাহিনী যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে সাহরির সময় ফিলিস্তিনের গাজা ভূ-খ-ের ওপর স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালিয়ে চার শতাধিক মুসলিম নারী-পুরুষকে হত্যা করেছে। তাদের এই নির্মম ও বর্বর হত্যাকা- শতাব্দীর সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গোটা ফিলিস্তিনকে ধ্বংসস্তূপ ও গণকবরে পরিণত করেছে তারা। ইসরাইলিদের রুখে দাঁড়াতে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।