মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘এবার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেটি যেন আমরা হাতছাড়া না করি। এই সুযোগ হারিয়ে গেলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে।’ শনিবার (৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট-২০২৪’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন যারা রাষ্ট্রের দায়িত্বে আছে, তাদের আমরাই সমর্থন দিয়েছি। সকলে একসাথে, ছাত্ররা, রাজনীতিবিদরা আমরা সবাই। এই প্রত্যাশায় দিয়েছি, তারা ১৫ বছর আওয়ামী লীগ যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে, সেগুলো সরিয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তরুণ-যুবকদের যে চাওয়া- নতুন বাংলাদেশ, সে বাংলাদেশ যেন আমরা তৈরি করতে পারি।’
তিনি আরো বলেন, ‘অনেকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনারা এত নির্বাচন নির্বাচন করেন কেন? তাদের উদ্দেশে বলছি, আমি বরাবরই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের পার্টিসিপেশন (অংশগ্রহণ) ছাড়া কোনো সংস্কার বা উদ্যোগ কখনো সম্ভব হতে পারে না। নির্বাচিত প্রতিনিধি জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সম্ভব। সমস্যা ওই জায়গায়, দেশে গণতন্ত্র চর্চা না হওয়ায় যে সংস্কৃতি, সেটি গড়ে উঠেছে। প্রত্যেকের মধ্যে একটা স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী চিন্তা-ভাবনা একবারে বাসা বেঁধে আছে। আমরা দ্রুত অসহনশীল হয়ে যাই। গণতন্ত্র মানেই সহনশীলতা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে সময় দিতে হবে, আমরা তাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছি, তারা কাজ করছেন। কিন্তু অবাক হয়ে যাই, মিডিয়ার কর্মকাণ্ড দেখে। তারা এই সরকারের কোনো সাফল্য দেখতে পায় না! অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই, সরকার তিন মাসে অনেক কাজ করেছে।’
‘এবার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেটি যেন আমরা হাতছাড়া না করি। এই সুযোগ হারিয়ে গেলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে,’ বলেন তিনি।
ফ্যাসিবাদ কিছু কিছু জায়গায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্য, কিছু মিডিয়া তাদের প্রমোট করছে। এটি জনগণের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।’ এধরনের প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন মির্জা ফখরুল।
আপনার মতামত লিখুন :