চীন শুক্রবার মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
চীন শুক্রবার মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির এ পাল্টাপাল্টি অবস্থান বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে ভাঙন ধরাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
বেইজিং জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অস্বাভাবিক শুল্ক নীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতি, মৌলিক অর্থনৈতিক নীতিমালা এবং সাধারণ বাণিজ্যিক বাস্তবতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের একতরফাভাবে অস্বাভাবিক উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক বাণিজ্যনীতির গুরুতর লঙ্ঘন। এটি মৌলিক অর্থনৈতিক আইন ও সাধারণ জ্ঞানেরও পরিপন্থী। এটি এক ধরনের হুমকি ও জবরদস্তি।’
এদিকে, হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুধবার বলেছিলেন যে ‘চীন পণ্যের ওপর এখন থেকে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।’ তবে এতে ফেন্টানাইল সম্পর্কিত ২০ শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত ছিল না। চলতি বছরের শুরুতে তিনি পৃথকভাবে ওই শুল্ক আরোপ করেছিলেন। ফলে চীনের উপর আরোপিত শুল্ক ১৪৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতি- যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এই সিদ্ধান্তের ফলে আরো একবার তীব্র বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে।
সূত্র : রয়টার্স