কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে বাড়তি দামেই বিক্রি আলু-পেঁয়াজ-সবজি


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুন ২২, ২০২৪, ৫:০১ অপরাহ্ণ /
কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে বাড়তি দামেই বিক্রি আলু-পেঁয়াজ-সবজি

রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। গত সপ্তাহে ২৪০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি হলেও এখন তা ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি। এ ছাড়া বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু-পেঁয়াজ-শসাসহ সব ধরনের সবজির দাম। এমন বাড়তি দামে বাজার করতে এসে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও বাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে যেটি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কমে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিল শসা। সেটি কিছুটা কমে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীতে গতকাল শুক্রবারও বিরাজ করেছে ঈদের আমেজ। ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামে যাওয়া মানুষ ঢাকায় না ফেরায় বাজারে তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। অনেক দোকান এখনো বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ক্রেতার উপস্থিতিও ছিল অনেক কম। কিন্তু তার পরেও নিত্যপণ্যের দাম কমেনি।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের বন্ধের মধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ কম। এ কারণে কাঁচামরিচসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে দু-এক দিনের মধ্যে বাজারে পণ্য সরবরাহ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে জানান তারা।

গোশতের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি দেশী মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকায়। আর প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির গোশত ১০৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা ও ছাগলের গোশত বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়। মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও কমেছে ডিমের দাম। বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। গত সপ্তাহে যেটা বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা ডজন।

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বেগুনের কেজি মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স, পটোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ও করলার কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী শসার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকায়, কচুরমুখী কেজি ১২০ টাকা ও কচুর লতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

বাজারে প্রতি কেজি দেশী রসুন ২০০-২২০ টাকা এবং আমদানি করা চায়না রসুন ২২০- ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। মানভেদে প্রতি কেজি দেশী বা বিদেশী আদা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, বি আর-আটাশ ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৭৫ টাকা। আর ভালো মানের চিকন চালের কেজি ৮৫ টাকা। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। দেশী ও আমদানি করা মসুর ডাল ১৫০ টাকা, আমদানি করা মোটা ডালের কেজি ১২০ টাকা, ছোলার ডাল ১৩০ টাকা, অ্যাংকর ডালের কেজি ৯০ টাকা।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, মাগুর মাছ ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৪০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশী কই ১২০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইককা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।