কালিগঞ্জে বিএনপির ভোটে আওয়ামী ও জাতীয় পার্টির অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : আগস্ট ৩, ২০২৫, ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ /
কালিগঞ্জে বিএনপির ভোটে আওয়ামী ও জাতীয় পার্টির অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে

নুরুল আমিনঃ সাতক্ষীরাঃ

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির দ্বিবার্ষিক ওয়ার্ড সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ভোটার তালিকায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২ আগস্ট) সকাল থেকে কৃষ্ণনগর ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুই ইউনিয়নের কৃষ্ণনগরে ১,২৯৯ এবং বিষ্ণুপুরে ১,৬৬০ জনকে সার্চ কমিটির মাধ্যমে সদস্য নবায়ন করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদের ভোটেই ইউনিয়ন দুটির ১৮টি ওয়ার্ডের সভাপতি, সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হচ্ছেন।

বিএনপির একাধিক ত্যাগী নেতা অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকা নবায়নের সময় গ্রুপিংয়ের সুযোগ নিয়ে প্রায় ২৫–৩০%আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পরিচিত নেতাকর্মী ভোটার হয়েছেন। বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য শফিউদ্দিন সবুজ বলেন, ‘৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি পদপ্রার্থী শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘের সাবেক সভাপতি ছিলেন, অথচ এখন বিএনপির ভোটে লড়ছেন।’

কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, ‘চিহ্নিত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির লোকজন এখানে প্রার্থী ও ভোটার হয়েছেন—এটা খুবই লজ্জাজনক।’

৫নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারি পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা মুনসুর আলী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাফিয়া পর্যন্ত বিএনপির ভোট চাচ্ছেন—আমরা তাহলে কার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব?’

আরও কয়েকজন ত্যাগী নেতা–কর্মীর অভিযোগ, ‘দলের দুঃসময়ে নির্যাতিত হয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছি; অথচ এখন যারা আওয়ামী লীগের দোসর, তারাই ভোটার তালিকায় জায়গা পাচ্ছে। এটি দলের জন্য ভয়াবহ বার্তা।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দলীয় নেতারা। সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাতক্ষীরা–৪ আসনের সার্চ কমিটির প্রধান তাজকিন আহম্মেদ চিশতি বলেন, ‘কোনোভাবেই অন্যদল থেকে ভোটার তালিকায় ঢোকার সুযোগ নেই। যদি কেউ অনুপ্রবেশের প্রমাণ দিতে পারে, তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, ত্যাগী নেতা–কর্মীদের বাদ দিয়ে বহিরাগতদের প্রভাব বাড়লে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।