টাইমস অব ইন্ডিয়াকে কিয়ারা বলেন, ‘যখন দীর্ঘ সময় নিয়ে আপনি কোনো ছবিতে কাজ করেন আর মুক্তির পর তা দর্শকের ভালোবাসা পায়; তখন পূর্ণতা প্রাপ্তির অনুভূতি হয়। এটা প্রভাবিত করে। এত বেশি সংখ্যক দর্শক যে ছবি দেখতে আসছে, এটা ইন্ডাস্ট্রির জন্যও ভালো। সাফল্য আমাকে তৃপ্তি দেয়, আত্মবিশ্বাসী করে।’
তবে এই সাফল্য উদ্যাপনের সময় নেই কিয়ারা। কারণ এক ছবির সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই মুক্তি পাচ্ছে আরেকটি। ২৪ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে কিয়ারার আরেকটি ছবি ‘যুগ যুগ জিয়ো’।
২৯ বছর বয়সী অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার সাফল্য নিয়ে কথা বলার সময় নেই। প্রতিটি হিটের পরপরই আমাকে কাজে নেমে পড়তে হয়েছে। বলা যায় আমি বসতেই পারিনি। হিট হওয়া কোনো ছবির পরেই একটুও বিশ্রাম বা উদ্যাপনের ফুসরত মেলেনি...কাজ আসতেই থেকেছে। এটা আমি উপভোগও করছি। যখন এতটা ভালোবাসা আর কাজ থাকতে তখন এটাই আমার উদ্যাপন।’
‘যুগ যুগ জিয়ো’তে কিয়ারা ছাড়াও আছেন বরুণ ধাওয়ান, অনিল কাপুর, নীতু কাপুর। ছবির পরিচালক রাজ মেহতা। যার সঙ্গে আগে আগে সুপারহিট ‘গুড নিউজ’ করেছিলেন কিয়ারা।
কিয়ারার আশা আগের ছবির মতো ‘যুগ যুগ জিয়ো’ও সুপারহিট হবে, ‘আমি অবশ্যই হিট উপহার দিতে চাই। কারণ, সিনেমা বানানো একটা ব্যবসা, যার সঙ্গে অনেক বাণিজ্যিক ব্যাপার জড়িয়ে আছে। বরুণ ও আমি ছবিটি নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালছি। আশা করছি শুক্রবার মুক্তির পর দারুণ একটা শুরু পাব। প্রার্থনা করি আগেরটির মতো এ ছবিও সাফল্য পাক।’
সাক্ষাৎকারে কিয়ারা আরও জানান, মাহামারির সময় তাঁর চুক্তিবদ্ধ হওয়া প্রথম ছবি ‘যুগ যুগ জিয়ো’। এ জন্য ছবিটি তাঁর কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘মহামারির সময় আমরা সবাই কঠিন সময় পার করেছি। তখন এমন কিছু করতে চাইছিলাম, যা আমাকে একটু উষ্ণতা দেবে। এই ছবিটি ছিল সেটাই।’