বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ প্রকৌশলী বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন আবরার ফাহাদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারত বিরোধী পোস্ট করায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। তবে ফাহাদকে ভুলে যাননি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা। তাই ফাহাদের নামে তার জেলার স্টেডিয়ামের নামকরণ করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
আবরার ফাহাদ ১৯৯৮ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায়। তার বাবার নাম মো. বরকত উল্লাহ এবং মায়ের নাম রোকেয়া খাতুন। তিনি কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং পরে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।
২০১৮ সালের ৩১ মার্চ আবরার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। কিন্তু পড়াশোনা চলাকালীন সময়েই তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাই নাম অনুসারে কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে। আগে এটির নাম ছিল কুষ্টিয়া শেখ কামাল স্টেডিয়াম। যার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম।
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এক মাস আগে জানিয়েছিলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানুষের জীবনের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা। যারা জাতীয় বীর এবং যে সকল শহীদ হয়েছেন তাদের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হবে।
এক মাসের ব্যবধানে ক্রীড়া উপদেষ্টার বক্তব্যের বাস্তবায়ন করা হলো। দুই স্টেডিয়াম ও এক খেলার মাঠের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে এসব স্টেডিয়াম ও খেলার মাঠের নামকরণ করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। জুলাই আন্দোলনে তিন শহীদের নামে তিনটি স্টেডিয়ামের নামকরণের পরিকল্পনা করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।