কোটা আন্দোলন ইসুতে খুলনায় গ্রেপ্তার ৭৫, বিএনপির নেতাকর্মীরা শঙ্কায়!


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ২৭, ২০২৪, ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ /
কোটা আন্দোলন ইসুতে খুলনায় গ্রেপ্তার ৭৫, বিএনপির নেতাকর্মীরা শঙ্কায়!

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় খুলনায় গত এক সপ্তাহে ৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা এবং আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে একাধিক মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন ১৬ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত তাদের দলীয় অন্তত ৭৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশকেই পুরোনো নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে সম্প্রতি মহানগরীর তিন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া তিনটি নতুন মামলায়ও অনেককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, দলের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থন জানানো হয়। কোনো ধরনের উসকানি ছাড়া পুলিশ এসব অহিংস কর্মসূচিতে গুলি চালিয়েছে। এখন আবার উল্টো বিভিন্ন মামলায় দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে খুলনাতে কোনো সংঘর্ষ-ভাঙচুর হয়নি। অথচ এ ঘটনাকে পুঁজি করে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তৃণমূলের কর্মীদের বাসাবাড়িতে গিয়ে পুলিশ তল্লাশির নামে হয়রানি চালাচ্ছে।

বিএনপি নেতারা জানান, গত কয়েক দিনে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শহীদ খান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনসার আলী, নগর কৃষক দলের আহ্বায়ক সজীব তালুকদার, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহম্মেদ ইস্তি, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্মআহ্বায়ক মির্জা মাহমুদ প্রমুখ গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্যরা ওয়ার্ডপর্যায়ের নেতাকর্মী।

খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী জানান, আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ গ্রেপ্তার করছে আমাদের নেতাকর্মীদের। বিএনপি তো এ আন্দোলন করছে না। অথচ পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। জেলা বিএনপির সাত-আটজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে সবার মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা কাজ করছে।