খালেদা জিয়া আগামী ৭ জানুয়ারি রাতে লন্ডনে যাবেন


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ৪, ২০২৫, ৮:২১ অপরাহ্ণ /
খালেদা জিয়া আগামী ৭ জানুয়ারি রাতে লন্ডনে যাবেন

বেগম খালেদা জিয়া – ছবিঃ সংগৃহীত

উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রওনা দিবেন বলে জানা গেছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানায়, আসছে ৭ জানুয়ারি রাত ১০টায় বিশেষায়িত বিমানে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন বেগম খালেদা জিয়া। সফরসঙ্গী হিসেবে পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক, নার্স ও ব্যক্তিগত সহকারীসহ ১৬ জন থাকবেন। যাত্রার বিষয়ে সবকিছু সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যাডামের লন্ডন সফর বিষয়ে আমি কিছু জানি না। জানলে জানাবো।

এদিকে, ২ জানুয়ারি রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে তার গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সাথে তার স্ত্রী বেগম সারাহনাজ কামালিকা রহমান ছিলেন। প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করেন সেনাপ্রধান।

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান।

বিএনপির তরফ থেকে বেগম জিয়ার বিদেশ যাত্রা নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তারিখ নির্ধারিত করা হয়নি। ইতোমধ্যে কয়েকটি গণমাধ্যম সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনও করেছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রার তারিখ নির্ধারিত করা হয়েছিল, কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার ভারসাম্য বজায় না থাকায় তারিখ পরিবর্তন হচ্ছে।

জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মো: এনামূল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ মোহাম্মদ আউয়াল, ডা: ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, ডা. মো: শাহাবুদ্দীন তালুকদার, ডা: নূরুদ্দীন আহমাদ, ডা: মো: জাফর ইকবাল, ডা: মোহাম্মদ আল মামুন, ডা: শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, সহকারী ব্যক্তিগত সচিব মো: মাসুদুর রহমান, প্রটোকল কর্মকর্তা এস এম পারভেজ, হাউজমেড ফাতেমা বেগম ও রূপা শিকদার।

এর আগে, ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। চারটি মামলার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত মামলায় কারাগারে যান খালেদা জিয়া। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এর পর ছয় মাস পর পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বহুবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। পরে দেশী-বিদেশী চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পরদিন এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের নানা জটিলতায় ভুগছেন।